রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ ডিসিদের

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি)। যে কোনো উপায়ে রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে তাদের। একইভাবে সার চোরাচালান বন্ধে তদারকি জোরদার করতে বলা হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে ডিলারদের কাছ থেকে সার নিতে না পারে তাও মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে নির্দেশ দেওয়া হয় ডিসিদের।

বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়নে ডিসি সম্মেলনে বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী এসব নির্দেশ দেন। সম্মেলন থেকে বের হয়ে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে দুই মন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সামনে রমজান মাস শুরু হচ্ছে। কিছু পণ্যের দাম আমরা ঠিক করে দেই। সেগুলো কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে। জেলা প্রশাসকদের শক্ত ভূমিকা নিতে হবে। প্রয়োজনে নিতে হবে আইনগত ব্যবস্থা। কুরবানির সময় চামড়া কেনাবেচার বিষয়টি তদারকি করতে হবে। কেউ যাতে দাম থেকে বঞ্চিত না হন।

‘ডিসিদের ওপর আমরা অনেক বিষয়ে নির্ভর করি। পণ্যসামগ্রী মফস্বল থেকে আসার সময় যাতে চাঁদাবাজির শিকার না হয়- তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এতে পণ্যের দাম বাড়ে, কৃষক এবং সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মধ্যস্বত্বভোগী যাতে কমিয়ে আনা যায়, কৃষক যাতে ন্যায্য দাম পায়- এসব ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তেল, ডাল, চিনি আমদানি করতে হয়। পেঁয়াজের উৎপাদন এবার ভালো। এ ছাড়া ভারত থেকেও সরবরাহ হচ্ছে। ফলে দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে পেরেছি।’

এর আগে ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, সার চোরাচালান বন্ধে মনিটরিং জোরদারে জন্য ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিলারদের কাছ থেকে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে সার নিতে না পারে তা মনিটর করতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ডিলাররা সার মজুত করেছিল। আমরা তাদের নিয়ে মিটিং করি। দেশে যে সার উৎপন্ন হয় তা যথেষ্ট নয়, এ জন্য আমদানি করতে হয়। আমাদের টার্গেট ‘ফুলফিল’ হয়েছে। এখন বাফার স্টকও আছে। ঘাটতির কোনো সম্ভাবনা নেই। সারে সরকার ভর্তুকি দেয়।

মন্ত্রী বলেন, সারের মজুত ঠিক আছে কিনা এবং সঠিকভাবে তা বিতরণ হচ্ছে কিনা- ডিসিরা তা দেখবেন। যেসব ডিলার অন্যায় কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও বিষয়টি দেখবেন।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী জানান, ‘আমরা বলেছি, অনেকেই দীর্ঘদিন যাবত বিসিক শিল্প এলাকায় প্লট ধরে রেখেছেন, কোনো কাজ করছেন না। সেগুলো নতুন করে যোগ্য ব্যক্তিদের দেওয়া হবে। নতুন কিছু বিসিক শিল্প এলাকা করা হয়েছে।’

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *