জামায়াতের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে যা জানাবে ইসি

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি ও জামায়াতের লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া চিঠির প্রসঙ্গে আলোচনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশন বলেছে, লবিস্টের পেছনে বিএনপির অর্থ ব্যয়ের তদন্ত করার আইনি কাঠামো ও সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ তথ্য জানান।

এর আগে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশনের ৯৩তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম উপস্থিত ছিলেন। সদ্য করোনামুক্ত হওয়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার কমিশনে সচিবালয়ে আসলেও বৈঠকে অংশ নেননি। তিনি বৈঠক শুরুর আধা ঘণ্টা আগে বেরিয়ে যান। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তিনিও এ সভায় অংশ নেননি।

জামায়াতের লবিস্ট নিয়োগে অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছিলেন- সে প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে লবিস্টের পেছনে অর্থ ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। যেহেতু জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয়, ফলে তাদের বিষয়ে কমিশনের কিছু করণীয় নেই। তিনি বলেন, নির্বাচনে কমিশনের পাওয়া তথ্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম নির্বাচন কমিশন ও বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান। শাহরিয়ার আলম বলেন, বিএনপি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগে যে চুক্তি করেছে, সেসব চুক্তির কপি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কেননা প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে দাখিল করতে হয়। বিএনপি নির্বাচন কমিশনে এ অর্থের হিসাব দাখিল করেছে কিনা কমিশনকে খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিএনপি চুক্তির জন্য বিদেশে যে অর্থ পাঠিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অনুমোদন রয়েছে কিনা যাচাই করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

শাহরিয়ার আলম জানিয়েছিলেন, বিএনপি-জামায়াত বিদেশি লবিস্ট নিয়োগে ৮টি চুক্তি করেছে। এর মধ্যে তিনটি চুক্তি করেছে বিএনপি। এই তিন চুক্তিতে বিএনপি ৩ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। বিএনপি অফিসের ঠিকানাও চুক্তির কপিতে উল্লেখ করা হয়েছে। জামায়াতের চুক্তির কপিতে প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা দেওয়া নেই। তবে চুক্তির কপিতে তাদের নাম রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে তারা চুক্তি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে এসব চুক্তির অনুমোদন রয়েছে। তবে এ চুক্তির অর্থ কীভাবে এলো, আমরা সে বিষয়ে খতিয়ে দেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাই।

স্ব.বা/

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *