মোহনপুর থানার ওসি’র ব্যাপক তৎপরতায় জনমনে ফিরে এসেছে স্বস্তি

রাজশাহী লীড

মোহনপুর প্রতিনিধি: রাজশাহী মোহনপুর থানার বর্তমান অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোঃ মোস্তাক আহম্মেদ। তিনি গত বছর ২৮-০৫-১৯ ইং তারিখে মোহনপুর থানায় যোগদান করেন। আর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসাবে মোহনপুর থানায় যোগদানের পর পুলিশের সেবা জনগনের দৌড়গোড়ায় নিয়ে গেছেন মোস্তাক আহম্মেদ। এতে করে জনগন হয়রানী থেকে মুক্ত হয়েছেন। সেবার মান আরও বাড়াতে রাতদিন নির্লস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সাধারণ মানুষ তার কাছে এসে সরাসরি তাদের অভিযোগ বলতে পেরে সস্তি প্রকাশ করছেন। তাই সাধারন জনগন মোস্তাক আহম্মেদ এর বন্ধুসুলভ আচরণের জন্য তারা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদকে তাদের বন্ধু মনে করে।

মোহনপুর থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ যোগদানের পরে এলাকার আইন শৃঙখলা ঠিক রাখতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। মোহনপুর থানা এরিয়ার মধ্যে ইভটিজিং, সন্ত্রাস, জঙ্গি তৎপরতা, মাদক, জুয়া, চুরি ও ডাকাতির পরিমাণ অনেক কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে এলাকায় অপরাধের সংখ্যাও।

জাতীয় “দৈনিক আজকের বসুন্ধরা” পত্রিকার সাংবাদিক মোঃ আনছার তালুকদার স্বাধীন বলেন, মোহনপুরের অবনতিশীল আইনশৃংখলা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে যোগদানের পর থেকেই পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে এনেছেন তিনি। ‘‘পুলিশি জনতা, জনতায় পুলিশ’’। জনগনের প্রকৃত বন্ধু যে পুলিশ সেটা তিনি মোহনপুরে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

মোহনপুর উপজেলায় (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ এর চৌকুশ তৎপরতায় উপজেলা জুড়ে অপরাধ কমিয়ে প্রায় শুণ্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছেন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিষ্ঠাবান তৎপরতায় জনমনে ফিরে এসেছে স্বস্তি। তবে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার দাবী তুলেছেন শুসীল সমাজ ও মোহনপুরের সচেতন মহল।

তিনি দায়িত্ব নেবার পর গোটা উপজেলায় পুলিশের টহল বৃদ্ধির পাশাপাশি অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবী, ধর্ষণের আসামি, চোর ডাকাতসহ বহু সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষমতা দেখিয়েছেন ও অভিযান চলমান রেখেছেন।

এছাড়াও উপজেলা সদর-সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের পুলিশের নিয়মিত টহলে কমেছে ছিন্নমূল অপরাধীদের দৌরত্ব। শৃংখলা ফিরে এসেছে যানবাহন চলাচলেও।

উপজেলার কেশরহাট পৌর মেয়র মোঃ শহিদুজ্জামান শহিদ বলেন, ওসি মোস্তাক আহম্মেদ এর এহেন তৎপরতায় আমার পৌরবাসী সহ মোহনপুর উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ স্বস্তিতে আছেন। মোস্তাক ভাই এর মত একজন দায়িত্বশীল ওসি পেয়ে পৌরবাসী সহ মোহনপুর উপজেলা বাসী আমরা সত্যিই খুব খুশি।

ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আজহারুল ইসলাম বাবলু বলেন, আমার ইউনিয়নের ঝাল পুকুরিয়া আদিবাসী পল্লীর অনেকেই চোলাই মদ তৈরি করে বিক্রি করতো। চুলাই মদ তৈরি থেকে বিরত রাখার জন্য ওসি মোস্তাক আমাদেরকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যে খবরটি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।

মোহনপুর উপজেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে এরই মধ্যে তিনি ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মেয়র, কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্থানীয় সাংবাদিক, কমিউনিটি পুলিশি এবং গ্রাম পুলিশদের নিয়ে মাদক, ইভটিজিং, সন্ত্রাস, জঙ্গি তৎপরতা, চুরি ডাকাতি বন্ধে সভা সমাবেশ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই প্রতিরাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে এলাকার দাগী চোর, ডাকাত এবং মাদককারবারীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। এলাকায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকদের নিয়ে সন্ত্রাস নাশকতা ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক সভা ও ধারাবাহিক মানব বন্ধনে সার্বিক সহযোগীতা করে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে সচল রেখেছেন এবং বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সম্মান বৃদ্ধি করছেন।

এ বছরের শুরুর দিকের ঘটনা: মোস্তাক আহম্মেদ খবর পেয়ে খুব দ্রুত বিলের ডোবার কচুরীপানার মধ্যে পড়ে থাকা একজন মুমূর্ষু বৃদ্ধকে উদ্ধার করে তার জীবন বাঁচিয়েছিলেন। যে খবরটি ভাইরাল হয়েছিল। এ রকম অনেক সৃজনশীল খবর পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত ওসি মোস্তাক আহম্মেদকে নিয়ে।

কেশরহাট পৌরসভা সহ উপজেলার বিশেষ বিশেষ পয়েন্টে নজরদারি ও অভিযানের কারণে ইদানিং সেসব স্থানে কমে গেছে মাদককারবারী ও মাদকসেবীদের আনাগোনা। স্কুল কলেজের ছাত্রীদের আসা যাওয়ার পথে পুলিশের পর্যাপ্ত টহলের কারণে কমেছে ইভটিজিং বা মেয়েদের উত্ত্যক্তের ঘটনা। কমেছে বখাটেদের উৎপাত।

মোহনপুর থানায় সেবা নিতে আসা এক স্কুল শিক্ষক বলেন, থানায় জিডি বা অভিযোগ দিতে গিয়ে এখন আর আগের মতো হয়রানির শিকার হতে হয়না। (ওসি) রাকিবুল হাসান তিনি নিজেই সকলের অভিযোগ শুনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেন এবং কোন দুর্ঘটনার খবর পেলে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান। উপজেলায় তার এ রকম প্রচুর উদাহরণ রয়েছে। ওসি’র ব্যাপক তৎপরতায় উপজেলায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এসেছে বলেও তিনি দাবি করেন।

ওসির বন্ধুসুলভ আচরণে থানার প্রতিটি পুলিশ সদস্য স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন: পুলিশের তৎপরতায় এখন এলাকায় মাদকের নির্দিষ্ট কোন আস্তানা নেই। পুলিশের নিয়মিত টহলের কারণে অপরাধ অনেক কমে গেছে। পুলিশের পাশাপাশি মোহনপুরে অপরাধ কমানোর কৃতিত্বের অংশীদার জনগণ, রাজনৈতিক নেতা এবং জন-প্রতিনিধিরাও বলে তিনি দাবি করেন। জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আজীবন কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, এ থানাকে সব ধরণের অপরাধমুক্ত একটি আদর্শ মডেল থানা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে আমি কাজ শুরু করেছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য যে মহামারী করোনাভাইরাসে বিশ্ব-সহ পুরো দেশ যখন লকডাউনে ছিলো ঠিক তখনই স্থানীয় অনেক অসহায় পরিবারের মাঝে (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ নিজ উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী ও মাস্ক বিতরণ সহ নানা দিক নির্দেশনা দেওয়া চলমান রেখেছেন ওসি মোস্তাক আহম্মেদ।

 

 

স্ব:বা/ না

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *