কৃষ্ণগোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে তদন্ত শুরু

রাজশাহী

মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ “কৃষ্ণগোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়” এর প্রধান শিক্ষক সীমা রাণী মজুমদার ও সভাপতি সুশীল চন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি,অর্থ-আত্মসাৎ এবং স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে অবৈধভাবে কমিটি গঠনসহ নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

এসব কারণে ওই বিদ্যালয়ের দূর্ণীতিবাজ প্রধান শিক্ষক সীমা রাণী মজুমদার এবং সভাপতি সুশীল চন্দ্রের দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ ও অবৈধভাবে গঠিত কমিটি বাতিল চেয়ে সচেতন এলাকাবাসীর পক্ষে সাইফুল ইসলাম চৌধুরী নামে এক শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তি এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে দায়েরকৃত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি তদন্তের জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান ওই বিদ্যালয়ে আসেন। নওগাঁর মান্দা-মহাদেবপুর উপজেলার সীমন্তবর্তী উপজেলায় অবস্থিত ওই বিদ্যালয়ে তদন্তে গিয়ে শিক্ষক, কর্মচারী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসীর বক্তব্য শুনেছি এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু বক্তব্য লিখিত আকারে নিয়েছি বলে তদন্ত কমিটির প্রধান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান।
এতে প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের অনেকাংশে সত্যতা পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। আর এ ব্যাপারে মূল সিদ্ধান্ত নিবেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ।

তিনি আরো জানান যে, নিয়োগ বাণিজ্যের পায়তারা বন্ধকরাসহ প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত অভিযোগে দাবী জানানো হয়।
কৃষ্ণগোপালপুর দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দূর্ণীতিবাজ প্রধান শিক্ষক সীমা রাণী মজুমদার এবং বর্তমান সভাপতি সুশীল চন্দ্র এসব বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়েছে; তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

স্ব.বা/রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *