বিদ্রোহীর মদদদাতারা প্রেসিডিয়াম সদস্যের সাথে শ্রদ্ধাঞ্জলিতে সমালোচনার ঝড়

রাজশাহী লীড
তানোর প্রতিনিধি: বিদ্রোহী মেয়র ও নৌকার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়ে দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সদ্য প্রেসিডিয়াম সদস্য হওয়া সিটি মেয়র  এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সফর সঙ্গী হয়ে টংগিপাড়া জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন।গতকাল বুধবার শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার সময় বিদ্রোহী ও বিদ্রোহীদের মদদদাতা রাব্বানী মামুন ও বিদ্রোহী মেয়র সাইদুর থাকায় উপজেলা জুড়ে বইছে সমালোচনা, সেই সাথে উপজেলার সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে তৃনমুলের নেতাকর্মীদের মাঝে  বিরাজ করছে তীব্র  ক্ষোভ ও অসন্তোষ। তবে তাদের সফর নিয়েও নানা প্রশ্ন বিরাজমান। কারন গ্রামে মানেনা আমি মোড়ল এমন অবস্থাও দেখাতে পারে কুচক্রীরা।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে ফেসবুকে দেখা যায় টংগিপাড়ায় মহান স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংগালী জাতির পিতার সমাধিতে ফুললে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে যান সদ্য আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজশাহীর সিটি মেয়র মহানগর আ”লীগের সাবেক সভাপতি জাতীয় চারনেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সুযোগ্য উত্তরসূরী এইচএম খায়রুজ্জামান  লিটনসহ নেতারা।তবে সফর সঙ্গী ছিলেন তানোর উপজেলা সভাপতি নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদর মদদপুষ্ট পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া গোলাম রাব্বানী ও মামুন এবং মুন্ডুমালা পৌরসভার বিদ্রোহী মেয়র সাইদুর রহমান।তারা জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার সময় রাব্বানী মামুন ও বিদ্রোহী মেয়র সাইদুর কে পাঞ্জাবি পড়ে একে অন্যের শরীরে হাত দিয়ে আছেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, গত দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত  হয়ে যাওয়া ইউপি নির্বাচনে রাব্বানী মামুন নৌকার পক্ষে ভোটের মাঠে না এসে বিপুল বানিজ্যের মাধ্যমে প্রতিটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী দিয়ে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।এঅপরাধে উপজেলা কার্যনির্বাহী কমিটির বিশেষ সভা থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।তারা দীর্ঘ দিন ধরে তানোরের মাটিতে পা না দিলেও হঠাৎ বুধবার ফেসবুকের মাধ্যমে দেখা যায়।তবে প্রেসিডিয়াম সদস্যের সাথে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার ছবি ছেড়ে নিজেরাই সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। কারন এত দিনে গোপনে থেকে হঠাৎ ছবি দেওয়া মানে মনোনয়ন বানিজ্যের বিপুল পরিমাণ অর্থ দেওয়া থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যই হয়তো একাজ করেছেন বলে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সেখান থেকে ফরিদপুর জেলা ভাঙ্গা উপজেলার এক রাস্তা থেকে পুনরায় প্যান্ট ছইটার পরা ছবি পোস্ট দেন গোলাম রাব্বানীসহ তারা।
তৃনমলের নেতাকর্মীরা জানান,এতদিন ছিল ঘরে,নৌকার ভোট চাইতে যারা সাহস পায়না,আর তাদেরকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে ডাকবে প্রেসিডিয়াম সদস্য এটা হতেই পারেনা। আসলে পাওনা দারদের কিছু একটা বুঝাতে তো হবে।কথায় আছে না গ্রামে মানেনা নিজেই মোড়ল।তাদের অবস্থাও ঠিক একই।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন,নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে  কি ভাবে জাতির পিতার সমাধিতে প্রেসিডিয়াম সদস্যের সাথে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে যান বুঝে আসেনা।যাদেরকে দল থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে কোন মুখে এসব করেন।এর মধ্যে হয় তো কোন না কোন চক্রান্ত আছে।
রাজশাহী-১(তানোর -গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ ও তানোর উপজেলার আওয়ামী লীগের অন্যতম এক নম্বর সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, তারা নৌকার সাথে বিদ্রোহ করে পদ পদবি বা একুল ওকুল দুকুল হারিয়ে জায়গা খোজার চেষ্টা করছে।তবে আমার দৃঢ বিশ্বাস একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য কখনো বিদ্রোহীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিবেন না।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *