অন্ধ্রপ্রদেশে অজ্ঞাত রোগ : বেনাপোল দিয়ে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা

সারাদেশ

স্বদেশবাণী ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের মধ্যে সম্প্রতি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে নতুন একটি অজ্ঞাত ভাইরাস দেখা দিয়েছে। এ রোগে কয়েকশ’ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। যার ফলে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে আসা ও বাংলাদেশি নাগরিকদের সেখানে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা ও সতর্কতা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) বেনাপোল ইমিগ্রেশনকে চিঠি দিয়ে সতর্কতা ও নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পেয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের ওই অঞ্চলের পাসপোর্টধারী যাত্রীরা কোনোভাবে যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেই বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে যাচ্ছেন তারাও যেন কোনোভাবে অন্ধ্রপ্রদেশে না যান।

যাতে করে কোন ভাবে বাংলাদেশে এ ভাইরাসটি প্রবেশ করতে না পারে। সেজন্য ভারত থেকে যেসব পাসপোর্টযাত্রী বাংলাদেশে ঢুকছে তারা ভারতের কোথা থেকে আসছে সে বিষয়েও তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগকেও নির্দেশনা মানতে পত্র দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার উৎপলা বিশ্বাস জানান, চিঠি পেয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে।

এদিকে, করোনা সংক্রমণের সময় আবার নতুন করে অন্ধ্রপ্রদেশের এ অজ্ঞাত রোগের কথা শুনে আতঙ্কিত হতে দেখা যায় অনেক পাসপোর্টধারী যাত্রীকে। এদিকে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশসহ বিভিন্ন প্রদেশের ট্রাক ড্রাইভাররা বেনাপোল বন্দরে মালামাল নিয়ে আসে। এসব ট্রাক ড্রাইভারদের মাধ্যমে বাংলাদেশেও নতুন এ ভাইরাসটি সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে এখনো কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বাণিজ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ও ভ্রমণে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার দেশ-বিদেশি যাত্রী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকেন। বাণিজ্যিক কাজে বাংলাদেশি অনেক ব্যবসায়ী অন্ধ্রপ্রদেশেও যাতায়াত করে থাকেন। তবে বর্তমানে করোনা সংক্রমণের মধ্যে শর্ত সাপেক্ষে মেডিক্যাল, বিজনেস ও কুটনৈতিক ভিসায় আসা-যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

এ সীমান্তে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি মানুষের জনসমাগম থাকায় সব সময় সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। অন্যান্য বন্দরের চেয়ে এ বন্দর দিয়ে বেশি যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *