স্বদেশবাণী ডেস্ক: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় সাবরেজিস্ট্রার মো. নাহিদুজ্জামান (৩১) ও অফিস মোহরার দূর্জয় কান্তি পালকে (৩৯) গ্রেফতার করা হয়।
প্রায় ১০ ঘণ্টার অভিযানে চকরিয়া সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে ঘুস ও কমিশন বাবদ আদায় করা ৬ লাখ ৪২ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন অভিযানের এ তথ্য যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন।
ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে এ অভিযানে পরিচালনা করা হয়েছে বলে দুদকের এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। গ্রেফতার দুজনকে আদালতে সোপর্দ করার জন্য ভোরে চকরিয়া থানায় নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চকরিয়া পৌরসভার কাহারিয়ার ঘোনার মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে রশিদ আহমদ কিছু দিন আগে সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের বিরুদ্ধে ঘুস ও কমিশন আদায়ের অভিযোগ এনে হটলাইন ১০৬ নম্বরে অভিযোগ দেন।
জমি রেজিস্ট্রি করার সময় তার কাছ থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা ঘুস ও কমিশনের টাকা আদায় করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
রশিদ আহমদ জানান, বৃহস্পতিবার দুদকের অভিযানের সময় তার কাছ আদায় করা টাকা দুদক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
আদালতে সোপর্দের জন্য দেওয়া দুদকের প্রতিবেদনে ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপর অভিযুক্ত সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের অফিস সহকারী শ্যামল বডুয়া অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন।
অভিযুক্ত ও গ্রেফতার দুজনের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে দুদক কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন জানান।
চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের যুগান্তরকে জানান, গ্রেফতারদের থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতার সাবরেজিস্ট্রার মো. নাহিদুজ্জামান নাটোর জেলার গুরুদাশপুর থানার উত্তর নাড়িবাড়ি এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে। অফিস মোহরার দূর্জয় কান্তি পাল কক্সবাজার সদর থানার খুরুসকুলের মধুরাম পালের ছেলে। আর পলাতক অফিস সহকারী শ্যামল বড়ুয়া কক্সবাজার পৌরসভার মহাজের পাড়ার দীনবন্ধু বড়ুয়ার ছেলে।