শুক্র-শনিবার কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে কাদের মির্জার অবস্থান

সারাদেশ

স্বদেশবাণী ডেস্ক: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের অপরাজনীতি বন্ধ, ডিসি, এসপি, ওসি প্রত্যাহারসহ দলীয় কয়েকজন নেতার গ্রেফতার দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জে অর্ধদিবস হরতাল শেষে এ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে তার অবস্থান থেকে সরে না এসে আরও কঠিন পদক্ষেপ নেয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি বলেন, স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ হরতাল পালন করতে পেরেছি। বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ী, আমাদের এলাকার নারী-পুরুষ সবাই সম্মিলিতভাবে বাস-সিএনজি মালিক শ্রমিক সবাই আমাদের সহযোগিতা করেছেন। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

তিনি বলেন, এ দাবিতে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি হলো শুক্রবার। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আমরা থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।

তিনি আরও বলেন, নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাজনীতির বিরুদ্ধে, আমার ওপর যে হামলা হয়েছে তার বিচার কঠিনভাবে দাবি করছি। আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে, আমার ছেলে মানুষ হত্যা করেছে, মাদকের সঙ্গে জড়িত। আমি রাজাকার পরিবারের সন্তান। আমি সব বিষয়ে আপস করলেও এই দুটি বিষয়ের সঙ্গে আপস করব না।

কাদের মির্জা বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশাসনের দুর্নীতির বিষয় এবং অপরাজনীতির বিষয় উনার কাছে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। যদি করতে পারি ভালো কথা, উনি ব্যবস্থা নিবেন। না করতে পারলে আমরা পরবর্তীতে কঠিন পদক্ষেপ নেব। আমি এটা থেকে সরব না। যে সত্য কথা বলা শুরু করেছি সেই সত্য কথা বলেই যাব।

তিনি বলেন, যদি বহিষ্কার করা হয় আমি বঙ্গবন্ধুর কথা বলব, আওয়ামী লীগ করব, আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলব। আমি সাহস করে সত্য কথা বলব। আমি অন্যায়, অবিচার, জুলুমের বিরুদ্ধে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আমি কাজ করে যাব। গ্রেফতার হলে জেলে থাকব, মেরে ফেললে কবরে থাকব।

এদিকে হরতাল উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাদের মির্জার নেতৃত্ব আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা রাস্তায় মিছিল করে। তারা রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করে হরতাল পালন করে। এ সময় দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিলো। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা থাকায় বেলা ১২টা পর্যন্ত হরতাল চলে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ টেকেরবাজারে তার কিছু অনুসারীদের নিয়ে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। প্রতিবাদ সমাবেশে সবুজ কাদের মির্জার বিরুদ্ধে অশালীন ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেন।

খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফখরুল ইসলাম সবুজকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশ ছেড়ে দেয়ার খবর পেয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে কাদের মির্জা নিজেই থানার ফটক অবরোধ করে অবস্থান নেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *