স্বদেশবাণী ডেস্ক: নোয়াখালীর বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, গত তিন মাস আমার ওপর, আমার কর্মীদের ওপর এবং আমার পরিবারের ওপর অনেক অত্যাচার হয়েছে। কিন্তু আমি কোনো প্রতিকার পাইনি। যেখানেই বলি ‘শান্ত থাকো’ আর ‘দেখছি’ এই দুইটা শব্দ ছাড়া কিছুই পাইনি।
আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রথমেই একটা অভিযোগ করেছিলাম। কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে বলেছি এরা আমাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছে। আমি অনুলিপি দিয়েছি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। আইজিসহ বিভিন্ন জায়গায় অনুলিপি জমা দিয়েছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথাও হয়েছে। উনি বলেছেন- আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দিচ্ছি তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। আমি আশ্বস্ত হলাম, কিন্তু পরিতাপের বিষয়, আজকে তিন মাস চলে গেলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফেসবুক লাইভে এসে কাদের মির্জা এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে উদ্দেশ করে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, যদি হিসাব করে দেখেন তাহলে আমার রাজনীতির বয়স আপনার থেকে এক দিন হলেও বেশি হবে। ওয়ান ইলেভেনের পর আমরা ছিলাম নেত্রীর পাশে, আপনারা কোথায় ছিলেন। আপনাদের কপাল ভালো মন্ত্রী হয়েছেন। তাই বলে কী আমরা বিচার পাব না?
তিনি বলেন, আমি রমজান মাসে লাইভ থেকে বিরত থাকার অঙ্গীকার করেছিলাম কিন্তু বারবার আমার ওপর হামলা হলেও আমি কোনো প্রতিকার পাইনি। যেখানেই বলি ‘শান্ত থাকো’ আর ‘দেখছি’ এই দুইটা শব্দ ছাড়া কোনো প্রতিকার পায়নি।
কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনির সমালোচনা করে বলেন, তিনি মিথ্যুক। তিনি এখানে এসে সুন্দর কথা বলে যাওয়ার সময় শিমুল চৌধুরী নামে আমার একজন কর্মীকে ধরে নিয়ে গেছেন।
মির্জা কাদের আবারো নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, এডিশনাল এসপি, কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি, পরিকর্শকের (তদন্ত) প্রত্যাহার এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল ও ভাগিনা ফখরুল ইসলাম রাহাতসহ বেশ কয়েকজনের নাম বলে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
কাদের মির্জা তার ছেলেকে আহত করার জবাব দিতে হবে উল্লেখ করে বলেন, চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি আসেন কালকে সকালে ভোট করেন, শেখ হাসিনা ছাড়া যে কারো সঙ্গে আমি ভোটে লড়তে প্রস্তুত আছি। জনগণ আমার সঙ্গে আছে, আমি মামলা হামলাকে ভয় পাই না।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে কাদের মির্জা ও তার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের অনুসারীদের সংঘর্ষে মেয়রপুত্র তাশিক মির্জা এবং অপর পক্ষে মন্ত্রীর ভাগিনা মিরাজসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। অন্যদিকে মির্জা কাদেরের অনুসারীরা বসুরহাট বাসস্ট্যান্ডে হামলা চালিয়ে বাদল অনুসারী জেলা পরিষদ সদস্য সবুজ চৌধুরীর মালিকানাধীন তিনটি ড্রিম লাইন বাস ও অফিস কক্ষ ভাংচুর করে।