স্বদেশ বাণী ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পরিচয়ে সুবর্ণ এক্সপ্রেসের ৬০টি প্রথম শ্রেণি ও ৬০টি দ্বিতীয় শ্রেণির আসন বরাদ্দ নিয়ে বিনাপয়সায় ট্রেন ভ্রমণ করেছেন মো. সোহেল নামে এক ব্যক্তি। পরে অনুসন্ধানে জানা গেছে, সোহেল নামে নগর ছাত্রলীগে কেউ নেই।
রেলওয়ের সূত্র জানা গেছে, চট্রগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পরিচয় দিয়ে মো. সোহেল নামে একজন গত ১২ সেপ্টেম্বর সুবর্ণ এক্সপ্রেসের ১২০টি আসন বরাদ্দের জন্য আবেদন করেন। ১৯ সেপ্টেম্বর ৭০১ নম্বর সুবর্ণ এক্সপ্রেসের চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার দ্বিতীয় শ্রেণির ৬০টি ও ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ১ম শ্রেণির ৬০টি আসনের জন্য আবেদন করেন তিনি। এ আবেদন অনুযায়ী ওই দুইদিন দু’টি অতিরিক্ত কোচ সংযোজনের নির্দেশ দেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার স্নেহাশীষ দাশ গুপ্ত। ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর সোহেল ভ্রমণ সুবিধা ভোগ করেন।
পরে জানা যায়, সোহেল নামে নগর ছাত্রলীগে কোনো নেতা নেই। ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে সোহেল নামে ওই প্রতারক রেলওয়ে থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন নগর ছাত্রলীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।
নিয়ম অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা আসন বরাদ্দের জন্য আবেদন জানালে সেটি অনুসন্ধান করে যাছাই-বাছাইয়ের সংগঠনের প্রধানের নিকট থেকে যাছাই-বাছাই করা হয়। কিন্তু স্নেহাশীষ দাশ গুপ্ত বিষয়টি যাছাই-বাছাই না করে সোহেল নামে ওই প্রতারককে সিট বরাদ্দ দেন।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা স্নেহাশীষ দাশ গুপ্ত বর্তমানে ছুটিতে থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানা যায়নি। এ প্রসঙ্গে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনসার আলী জানান, এ রকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য দফতরের সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। সূত্র: পূর্বপশ্চিম।
স্ব.বা/শা