স্বদেশ বাণী ডেস্ক: টেলিভিশনের লাইসেন্স ফি আদায় কার্যক্রম জোরদার করতে চায় সংসদীয় কমিটি। কমিটির মতে যথাযথ মনিটরিংয়ের আওতায় এনে লাইসেন্স ফি আদায় করা গেলে বাংলাদেশ টেলিভিশনের আয় বাড়বে।
সোমবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়টি পর্যালোচনা করে কমিটিকে প্রতিবেদন দেয়ার সুপারিশ করা হয়। কমিটির বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আবাসিক ও বাণিজ্যিক খাতের টেলিভিশনের লাইসেন্স ফি আদায়ে ব্রিটিশ আমলের ‘দ্য ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফি অ্যাক্ট, ১৯৩৩’ আইনের অধীনে ‘দ্য টেলিভিশন রিসিভিং অ্যাপারেটাস (পজেশন অ্যান্ড লাইসেন্সিং) রুলস, ১৯৭০ প্রণীত হয়। এই বিধিমালার অধীনে আবাসিক ভিত্তিতে ব্যবহৃত টেলিভিশন ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত টেলিভিশনের লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়।
পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে টেলিভিশন, ভিসিআর ও স্যাটেলাইট টিভি রিসিভারের ফি নির্ধারণ করে তা আদায় জোরদার করা হয়। এ সময় এক শ্রেণির প্রতারক চক্র আবাসিক টেলিভিশনের মালিকদের বাড়িতে গিয়ে ফি আদায়ের নামে প্রতারণা শুরু করে। পরে বিষয়টি সরকারের নজরে আসায় বার্ষিক ফি আদায়ের এই কার্যক্রমের পরিবর্তে টেলিভিশন কেনার সময় এককালীন তিন বছরের আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সরকারের মনিটরিংয়ের অভাবে এটিও ফলপ্রসূ হয়নি। এদিকে লাইসেন্স ফি আদায় কার্যক্রম জোরদার না হলেও ২০১৪ সালে সরকার আরেক দফায় লাইসেন্স ফি বাড়িয়ে পুনঃনির্ধারণ করে। ওই সময় সরকার আবাসিক ভিত্তিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরন ও পরিমাপের টিভি সেটের পুনঃনির্ধারিত এককালীন আবাসিক টেলিভিশন লাইসেন্স ফি সাদাকালো টিভি ৬০০ টাকা, সাধারণ রঙিন টিভি ২১ ইঞ্চি পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ টাকা, সাধারণ রঙিন টিভি ২২ ইঞ্চি বা তদূর্ধ্ব ১ হাজার ৮০০ টাকা, এলসিডি/এলইডি টিভি ২১ ইঞ্চি পর্যন্ত ১ হাজার ৮০০ টাকা, এলসিডি/এলইডি টিভি ২২ থেকে ৩৬ ইঞ্চি পর্যন্ত ২ হাজার ৪০০ টাকা এবং এলসিডি/এলইডি টিভি ৩৭ ইঞ্চি বা তদূর্ধ্ব ৩ হাজার টাকা পুননির্ধারণ করে।
কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে বৈঠকে তথ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, সদস্য কাজী কেরামত আলী, আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক), খঃ মমতা হেনা লাভলী ও সালমা চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান অংশ নেন।
স্ব.বা/বা