কাজী মোঃ জমিরুল ইসলাম মমতাজ (দক্ষিন সুনামগঞ্জ): দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশ ইউনিয়নের সিদখাই গ্রামের রাস্থার কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগে পাওয়া গেছে।
রাস্থার কাজে বাঁধা দেয়ায় শনিবার সকালে সিদখাই গ্রামের আমির হোসেন বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত ইমান উল্লাহর ছেলে সামছু মিয়া, মৃত রহিত উল্লার ছেলে মাহমদ আলী, মৃত আব্দুল আহাদের ছেলে আফজল আলী, মৃত সিদ্দেক উল্লার ছেলে আব্দুল হান্নান, মৃত হান্দু মিয়ার ছেলে জিয়াউল হক, সফর আলীর ছেলে শফিক মিয়া ও মৃত রহিদ আলীর ছেলে ছালেক মিয়ার বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিদখাই গ্রামের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে পরিকল্পনামন্ত্রী আজহাজ্ব এম এ মান্নানের প্রচেষ্টার রাস্থার বরাদ্ধ আসলেও প্রতিপক্ষের বাঁঁধায় গ্রামের দক্ষিণ কবরস্থান হতে স্কুল হয়ে এলজিইডি রাস্থার কাজ চলাকালীন সময়ে উপরোল্লিখিত বিবাদীগণ প্রায় সময় বাধা নিষেধ দিয়ে আসায় কাজ বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে।
যথারীতি আজ সকালে মাটি কাটার মেশিন নিয়ে যাওয়ার সময় নামাঙ্কিত বিবাদীগণ বাদী আমির হোসেনকে ডাক দিয়ে দাড় করে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারার পাশাপাশি তার পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
বিষয়টি সালিশে মীমাংসার চেষ্টা করলেও বিবাদীগণ সালিশকারিদের সামনেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায় এবং বিবাদীগণ কাজ চলমান রাখতে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চায়। আর না দিলে কাজ চলতে দেবে না বলেও জানায়। রাস্থার কাজ চলমান না থাকায় কষ্টের শেষ নেই এলাকাবাসীর। দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন রয়েছে আটকে। এতে ক্ষোভ ফেটে পড়েছে পুরো গ্রাম। আমির হোসেন ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
বিবাদী সামছু মিয়া বলেন, রাস্থার কাজে বাঁধা দিয়েছি ঠিক কিন্তু আমি কাউকে মারধর করিনি।
বাদী আমির হোসেন বলেন, সরকারী কাজে বাধা দেয়ায় আমি প্রতিবাদ করলে বিবাদীগণ আমাকে মারধর করে। এখন আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় থাকায় মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।
এব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশীদ চৌধুরী অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্ব.বা/শা