স্টাফ রিপোর্টার: আজ ৩১ ডিসেম্বর। ইংরেজি বছরের শেষ দিন। আজকের রাতকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’। এ রাতে নানা আয়োজনে পুরনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ করা হয়। কিন্তু যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য রাজশাহীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এরই মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) এবং জেলা পুলিশ আলাদা আলাদাভাবে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজিয়েছে। থার্টি ফাস্ট নাইট ও মুজিববর্ষ কাউন্টডাউন উপলক্ষে আইন-শৃংখলা সংক্রান্ত এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় আরএমপি কমিশনার হুমায়ুন কবীর তার অধিনস্ত কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলেছেন।
সোমবার আরএমপি কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আরএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) সুজায়েত ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) সালমা বেগমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহ তার অধিনস্তদের থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। সোমবার এসপির কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাসিক অপরাধ সভায় এই নির্দেশনা দেন তিনি। সভায় জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) উপস্থিত ছিলেন।
নগর ও জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, থার্টি ফার্স্ট নাইটে পটকা ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও ফোটানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর থার্টি ফার্স্ট নাইটে খোলা আকাশের নিচে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। ক্লাব ঘর বা নিজের বাড়ির ভেতর রাতটি উদযাপন করা যাবে।
কেউ এই নির্দেশনা অমান্য করলে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা। রাতটি ঘিরে পুলিশের টহলের পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। সক্রিয় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও।
স্ব.বা/শা