আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাতবছরের পুরনো বাংলাদেশের একটি ভিডিওকে ভারতের বলে দাবি করে প্রতিবেশী ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলতে গিয়ে নিজেই বিপাকে পড়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতের উত্তরপ্রদেশের ভিডিও দাবি করে বাংলাদেশের পুরনো একটি ভিডিও পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
অবশ্য, পোস্ট করার দুইঘণ্টার মধ্যেই টুইটটি সরিয়ে দেওয়া হয় ইমরান খানের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে।
শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪৪ মিনিটে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে ইমরান দাবি করেন, যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে এভাবেই মুসলিমদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এই ঘটনাটি যে মুসলিমদের দেশছাড়া করতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ভারতীয় পুলিশের হামলার অঙ্গ, তাও দাবি করেন ইমরান।
যদিও, ভিডিওতে স্পষ্টই দেখা যায় উর্দিপরিহিতরা বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)-এর সদস্য।
এরপর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানানো হয় যে, ওই ভিডিওটি আসলে ২০১৩ সালে ঢাকায় হেফাজতে ইসলাম ঢাকায় জড়ো হয়েছিলেন সংগঠনের সদস্যরা। সেসময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। দোকানপাটে আগুন লাগানো থেকে শুরু করে গাছ কেটে ফেলা—কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ঢাকার একাংশ। আর ইমরান খানের টুইট করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ওই ঘটনারই চিত্র।
এদিকে, ইমরান খানের ওই টুইটের পাল্টা জবাবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ লিখেছে, “এটা উত্তরপ্রদেশের নয় বরং ২০১৩ সালের মে মাসে বাংলাদেশের ঢাকার একটি ঘটনা। উর্দিতে লেখা রয়েছে র্যাব (র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন)।’
সেইসঙ্গে বেশকিছু লিঙ্ক দিয়ে ইমরানের উদ্দেশে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের মন্তব্য, “এবিষয়ে আপনাকে অবগত করতে এই লিঙ্কগুলি সাহায্য করবে। সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন।
স্ব.বা/শা