বাগাতিপাড়ায় ব্রীজ আছে রাস্তা নেই

রাজশাহী লীড

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ ব্রিজ আছে রাস্তা নেই এমন দৃশ্য দেখা যায় নাটোরের বাগাতিপাড়ায়। উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর এলাকায় মাঠের মধ্যে রাস্তা ছাড়াই ব্রীজ নির্মান হয়েছে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর-চাপাপুকুর সংযোগ রাস্তায় ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে গ্রামীণ রাস্তায় সেতু প্রকল্পের আওতায় পিআইও দপ্তরের অধীনে ২৬ ফুট দীর্ঘ ব্রীজটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়।

ব্রিজটি গত দুই বছর আগে ২১ লাখ টাকায় নির্মান করা হলেও নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক। তাই ২৬ ফুট দৈর্ঘ্যরে ব্রিজের সংযোগ রাস্তাটি আজও অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। যার কারণে সুফলের পরিবর্তে উল্টো দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পার্শ^বর্তী তিন গ্রামের হাজার হাজার সাধারন মানুষের।

এসকল এলাকাবাসীরা জানান, এলাকাটি কৃষি প্রধান হওয়ায় উপজেলার জামগনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর, চাপাপুকুর, কৈচরপাড়া গ্রামের মাঠে ধান, গম, মসুর, সরিষাসহ নানান ফসলের আবাদ হয়। সেসব ফসল মাঠ থেকে কৃষকরা ভ্যান, পাওয়ার ট্রিলার এবং মহিষের গাড়িতে করে সমতলের ওই রাস্তা দিয়ে পরিবহন করতো।

বর্তমানে গত দুথবছর পূর্বে হটাৎ মাঠের মাঝে ওই রাস্তায় ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ব্রীজের সাথে সংযোগ সড়কে মাটি দিয়ে উচু করা হয়নি আজও। এর ফলে সমতলের রাস্তাটিও এখন আর ব্যবহার করতে পারছেনা গ্রামগুলোর কৃষকরা।

ব্রীজের সাথে সংযোগ সড়ক ও রাস্তায় মাটি কেটে উঁচু না করায় ব্রীজের পাশ দিয়ে অন্যের জমি দিয়ে কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া করতে হচ্ছে। এলাকাবাসীদের দুর্ভোগরোধে দ্রুত মাটি ভরাট করে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন এসব এলাকায় বসবাসকারী কৃষকসহ সাধারন মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের মাঝখানে অনেক উচু করে ব্রীজটি তৈরি করা হয়েছে। ব্রীজের দুইপাশে সামান্য মাটি ভরাট করা হলেও বাঁকি দুইপাশে রাস্তায় কোন মাটি দেয়া হয়নি। ফলে সামান্য জায়গায় মাটি ভরাট করায় তাল গাছের মতই এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা ব্রীজটি কোন কাজেই আসছেনা। ব্রীজটির দুথপাশে রাস্তার নামমাত্র অস্তিত্ব দেখা যাচ্ছে কিন্তু পর্যাপ্ত মাটি ভরাটের অভাবে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা।

এই বিষয়ে জানতে, জামনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আল আমিন সরকার বলেন, তিনি সিংড়া উপজেলায় কর্মরত এবং বাগাতিপাড়া উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। আগের কর্মকর্তার সময়ে ত্রাণের এই ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি এ সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *