ভালোবাসা দিবসে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্যমুক্ত হলো বড়কুঠি পদ্মাপাড়

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্যমুক্ত হলো রাজশাহীর বড়কুঠির পদ্মাগার্ডেনস্থ পদ্মাপাড়। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও ফাল্গুনের প্রথম দিনে রাজশাহীর তরুণ সংগঠন ইয়্যাসের (ইয়ুথ এ্যকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ) তরুণেরা পদ্মা নদীর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শণ করে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে।

পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে রাজশাহীর বড়কুঠির পদ্মাগার্ডেনস্থ পদ্মাপাড় ও তার আসেপাশের এলাকাকে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্যমুক্ত করে।

এতে তরুণ সংগঠন ইয়ুথ এ্যকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস ও রাজশাহীর ১৮টি তরুণ সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরাম সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরাম রাজশাহীর স্বেচ্ছাসেবীসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় শতাধিক তরুণ স্বেচ্ছাসেবী অংশগ্রহণ করেন।

পদ্মা নদীকে দুষণমুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে গণসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘শহর আমার দায়িত্ব আমার’ শীর্ষক চলমান গণসচেতনতা প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে তরুণ সংগঠন ইয়্যাস (ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ) ও উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক যৌথভাবে “প্লাস্টিক ও বর্জ্য মুক্ত পরিচ্ছন্ন পদ্মাপাড়, জীবন্ত নদী তারুণ্যের অঙ্গীকার” স্লোগানে বরেন্দ্র অঞ্চলের ‘জীবন্ত সত্তা’ পদ্মা নদী রক্ষার ডাক প্রচারাভিযানের আয়োজন করে। রাজশাহীর বড়কুঠির পদ্মাগার্ডেনস্থ পদ্মাপাড় প্রাঙ্গনে আয়োজিত এ প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে বড়কুঠির পদ্মাগার্ডেন পদ্মাপাড় ও তার পার্শবর্তী এলাকাকে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্যমুক্ত করেন তারা।
নদী তীরে ময়লা আবর্জনা ফেলায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নদীর প্রবাহ। নদীতে ফেলা হচ্ছে চিপসের প্যাকেট, বিস্কুটের প্যাকেট, কোমল পানীয় বোতল আর ক্যান, প্লাস্টিক ও পলিথিনজাত সহ সব ধরনের বর্জ্য।

পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিকের বর্জ্য অন্যতম প্রতিবন্ধক হিসেবে পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে নানামাত্রিকে হুমকির মুখে ফেলে। কারণ, প্লাস্টিক পচনযোগ্য নয়। প্লাস্টিকের বর্জ্যে প্রকৃতির ভারসাম্যের ওপর যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয় সেখান থেকে পরিবেশকে নিরাপদ রাখতে এমন অপচনশীল দ্রব্যকে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করতে পারলে দূষণ ঠেকানো সহজ হবে বলে প্রচারাভিযান চলাকালে সংগঠনের পক্ষ সকল দর্শনার্থী ও ব্যবসায়ীদেরকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়।

প্লাস্টিক ও পলিথিনের উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ করতে পারলে খুব বেশী ভালো হবে বলে উল্লেখ করে প্রচারনাকালে বলা হয় যে, প্লাস্টিক ও পলিথিন মাটির উর্বরতা নষ্ট করে। নদী আর সমুদ্রে ফেলে দেয়া এসব অব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিনজাত পণ্য পানির স্বচ্ছতা, নাব্য এবং সুপেয় তরল পানিকে দূষণ পর্যায়ে নিয়ে যায়। তাই আমাদের সকলকে প্লাস্টিক ও পলিথিনসহ সকল প্রকার অপচনশীল দ্রব্য ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। একই সাথে সকলকে প্লাস্টিক ও পলিথিনসহ সকল প্রকার অপচনশীল দ্রব্য পদ্মা পাড়ে নদীতে বা অন্য কোনও উন্মুক্ত স্থানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থান (ডাস্টবিন) এ ফেলার জন্য আহবান জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর প্রবীণ সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান খান আলম “প্লাস্টিক ও বর্জ্য মুক্ত পরিচ্ছন্ন পদ্মাপাড়, জীবন্ত নদী তারুণ্যের অঙ্গীকার” স্লোগানে আয়োজিত মাসব্যাপী বরেন্দ্র অঞ্চলের ‘জীবন্ত সত্তা’ পদ্মা নদী রক্ষার ডাক প্রচারাভিযানের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধনীকালে প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ও আয়োজন করা হয়।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *