রাজশাহীর কেশরহাটে মাছবাজারের পিলার ধসে পড়ে চোখ হারালেন ব্যবসায়ী

রাজশাহী লীড
স্বদেশ বাণী ডেস্ক:রাজশাহী মোহনপুরের কেশরহাট মাছ বাজারের শেডের পিলার ধসে পড়ে চোখ হারালেন একজন মাছ ব্যবসায়ী। গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। দীর্ঘদিন ধরে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা সেডটির সংষ্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকার জনসাধারণ।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, মোহনপুরের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা কেশরহাট মাছ বাজারটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ বাজার থেকে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর প্রতিদিন প্রায় ২৫ টন থেকে ৩০ টন মাছ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরে রফতানি হয়ে থাকে। আর মাছ বাজরে খুচরা বিক্রেতা, আড়ৎদার, ফড়িয়া ও লেবারসহ ১৭শ থেকে ২ হাজার মানুষ সম্পৃক্ত রয়েছেন। ব্যবসায়ীদের মতে, প্রায় ২০ বছর আগে এখানে মাছ বাজারের জন্য নির্মীত হয় দুটি সেড। পরবর্তীতে জরাজীর্ণ সেড দুটি বরাদ্দকৃত অর্থে মেরামত করা হলেও ঝুঁকির দিকটি বিবেচনা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। প্রায় ২ বছর ধরে সেড দুটির পিলারের খোয়াবালি ও সিমেন্ট খসে পড়ে লোহার রডগুলো বের হয়ে গেলেও নেয়া হয়নি পুননির্মাণের কোনো উদ্যোগ।
গত শনিবার সকালে এ বাজারে আসা বাগমারা উপজেলার মুগাইপাড়া এলাকার মোঃ সামসুল নামে এক মাছ ক্রেতা জানান, কেশরহাট একটি নামজাদা হাট। এখানে ভাল মাছ পাওয়া যায়, তাই এখানেই বাজার করি। শেড দুটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ দেখে দ্রুত মাছ নিয়ে বেরিয়ে যাই।
বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মোঃ হারুনুর রশিদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসা করে আসছি। এখানকার সেডটি ঝুকিপূর্ণ সংষ্কারের আবেদন করলেও কেউ খোজঁ নেয়নি। আজ পিলার ধসে পড়ে আমি চোখ হারিয়েছি। আমি গরিব মানুষ এখন ব্যবসা করতে না পারায় পরিবার পড়বে চরম সংকটে। সেডটি সংস্কার জরুরী।
গতকাল রোববার দুপুরে জানতে মাছবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমরা রয়েছি চরম সংকটে। এ বাজার থেকে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়। প্রায় ২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এই মাছ বাজারে। এখানে নেই ব্যবসায়ীক কোনো পরিবেশ। জনাজীর্ণ অবস্থায় ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে আমাদের এবং ক্রেতাদের। সেডগুলোর রডবালি ধসে পড়ে মানুষ প্রতিনিয়ত আহত হচ্ছেন। গত শনিবার আমাদের একজন ব্যবসায়ীর মাথায় পিলার ধসে পড়ে চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। সকল ব্যবসায়ী মিলে স্থানীয় প্যানেল মেয়রসহ পৌর মেয়ররের কাছে সংস্কারের আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি। এখন দেখুন যেকোন সময় সেড পড়ে মানুষ মরতে পারে। ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে অন্যস্থানে মাছ বাজারের জন্য জমি কেনা হয়েছে পৌর মেয়র ও এমপি মহোদয় ভরাট কাজে সহযোগিতা করলে আমরা উপকৃত হবো।
জানতে চাইলে কেশরহাট পৌর শহিদুজ্জামান বলেন, দ্রুত মাছ বাজারের সেড সংষ্কার করা হবে। ব্যবসায়ীদের মাছ বাজার স্থানান্তরে সহযোগিতা চাইলে সহযোগিতা থাকবে। এছাড়া পান বাজারের সেডটি দখল হয়ে গেছে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এটি উচ্ছেদ করা হবে। পানবাজার বৃদ্ধির উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *