স্বদেশ বাণী ডেস্ক: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত সরকারের ঘোষিত লকডাউনে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় আটকেপড়া আরও ৩৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
শনিবার সকালে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা দেশে ফেরেন। তবে ফেরত পাঁচজনের দেহে উচ্চ তাপমাত্রা থাকায় তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার ৮১ বাংলাদেশি বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফেরেন।
প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে যশোরের একজন, মাগুরার একজন, গোপালগঞ্জের দুজন ও খুলনার একজন রয়েছেন।
বাকি ৩০ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ না পাওয়ায় ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য হাতে সিল দিয়ে যার যার বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
বেনাপোলে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, দুদেশের দূতাবাস ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলাপ-আলোচনার পর আটকে থাকা দশা থেকে ৩৫ জনকে বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেয় ভারত কর্তৃপক্ষ।
বিশেষ ব্যবস্থায় এদিন দেশে ফেরা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে অধিক কড়াকড়ি ও সতর্কতা অবলম্বন করা হয় বলে জানান তিনি।
ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, পাঁচজনের দেহে উচ্চতাপমাত্রা থাকলেও অন্যদের দেহে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তবে তাদের প্রত্যেককে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষাকালে তাদের হাতে বিশেষ চিহ্নিতকরণ লাল সিল দেয়া হয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবীব জানান, ভারত থেকে আসা বাংলাদেশিদের বাড়ি যশোর, মাগুরা, নড়াইল, খুলনা, কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুরসহ বিভিন্ন জেলায়।
তাদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে প্রত্যেকের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর রাখা হয়েছে। তাদের স্ব-স্ব জেলায় সেগুলো পাঠিয়ে দেয়া হবে। সূত্র: যুগান্তর।
স্ব.বা/শা