স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পুঠিয়ায় দুলাভায়ের বাড়িতে শ্যালিকা ইভা খাতুন (১২) নামের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে পরে লোকলজ্জার ভয়ে নিজ বাড়িতে এসে ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই কিশোরী। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিনমাস আগে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের হলহোলিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে এখলাস আলীর সাথে সেলিম হোসেনের বড় মেয়ের বিয়ে হয়। সেই সুবাদে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়–য়া ইভা খাতুন প্রায় ১৫দিন আগে দুলাভায়ের বাড়ি বেড়াতে যায়। দু’বোন এক সাথে থাকলে ভালো হয় জানিয়ে এখলাস আলীর এসে শ্যালিকাকে নিয়ে যায়। দুলাভায়ের সাথে গিয়ে সেখানে প্রায় এক সপ্তাহ থাকে। সেই সময়ের মধ্যেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এবং এই খবর কাউকে না বলতে হুমকি দেন দুলাভাই। ঘটনার পর কয়েকদিন আগে মেয়েটি নিজ বাড়ি এসে কারো সাথে কোনো কথা বলতো না। গম্ভির হয়ে সারা দিন ঘরের মধ্যে থাকতো। পরে সে তার মাকে দুলাভায়ের ধর্ষণের কথা খুলে বলে। এই ঘটনায় মেয়ের পরিবার থেকে জামাইয়ের পরিবারকে জানিয়েও এর কোনো বিচার পাইনি। পওে এ ঘটনায় লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটি গত বৃহস্পতিবার সকালে আত্মহত্যা করে।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। আজ শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ মেয়ের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনায় ভূক্তভোগি মেয়েটির বাবা গতকাল রাতে বাদি হয়ে জামাইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর মামলার প্রধান আসামী এখলাস আলী ও তার পিতা পলাতক রয়েছে। তবে মামলার তিন নম্বর আসামী এখলাসের মা জরিনা বেগম (৪৮) কে আটক করা হয়েছে।
স্ব.বা/বা