স্বদেশ বাণী ডেস্ক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সম্মিলিতভাবে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ মহাদুর্যোগ মোকাবিলার আহŸান জানিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় এমন বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতেও ঐক্যের আহŸানে সাড়া না দিয়ে সরকার একদলীয় ভিত্তিতে কর্মকাÐ পরিচালনা করতে গিয়ে সবকিছু লেজেগোবরে করে ফেলেছে। এ পরিস্থিতির দায় এককভাবে বর্তমান সরকারকেই বহন করতে হবে।
মঙ্গলবার (৫ মে) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সম্মিলিতভাবে মহাদুর্যোগ মোকাবিলা সময়ের দাবি’। আমরা মনে করি, এখনও সময় আছে। এ সময়ে এসেও সরকার যদি মনে করে তারা আন্তরিকতার সঙ্গে জনগণের পাশে দাঁড়াবে, তাহলে কিছু পদক্ষেপ এখনও জরুরিভাবে তারা নিতে পারে। যদিও এরই মধ্যে অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে গেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সুষ্ঠুভাবে করোনা সঙ্কট মোকাবিলার জন্য সম্পদশালী রাষ্ট্র হওয়াটা জরুরি নয়। বৈশ্বিক অভিজ্ঞতায় দেখা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের তুলনায় ভিয়েতনাম, নেপাল, ভুটান এমনকি ভারতের কেরালা রাজ্যে আন্তরিকতা, দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং দরিদ্র মানুষের জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে সরাসরি আর্থিক-গ্রান্ট তুলে দেওয়ার মাধ্যমে এ সাফল্য অর্জন করেছে।
এ মুহূর্তে জরুরি আবশ্যকীয় শারীরিক দুরুত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দিন আনে দিন খায় এ শ্রেণির মানুষের মাসিক ৫ হাজার টাকা হারে প্রাথমিকভাবে তিন মাসে জনপ্রতি ১৫ হাজার টাকা নগদ সাহায্য-সহায়তা সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে পৌঁছানো নিশ্চিত করতেই হবে। এ শ্রেণির মানুষের কাছে নগদ অর্থ সহায়তা পৌঁছে দিলে আয়ের অপরিহার্য যুক্তিতে তারা ঘরের বাইরে আসার প্রয়োজন অনুভব করবে না। এরই মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে বা সহনীয় পর্যায়ে আনয়ন করা সম্ভব হবে।
স্ব.বা/বা