এবার ব্যতিক্রমী ইদ উদযাপন

চারণ সংবাদ জাতীয়

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে এবার অনেকেই গ্রামের বাড়িতে যেতে পারেননি। অনেকে গ্রামে গেলেও অল্প দূরত্বে থাকা বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখাও করেননি। আবার অনেকেই রয়েছেন বিদেশে। দেশ-বিদেশ, অল্প-দূরে বহু-দূরে, কর্মস্থলে কিংবা গ্রামে থাকলেও দেশের মানুষের বড় অংশই এবার ইদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন ভার্চুয়ালি। কাছে-দূরে থাকা প্রিয়জন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী, সবাই মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইভার, জুম মিটিংসহ বিভিন্ন অ্যাপে যুক্ত হয়েছেন।

শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনার কারণে এবার জাতীয় ইদগাহ, শোলাকিয়া ময়দানসহ বড় বড় ময়দানগুলোতে ইদের জামাত হয়নি। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে ইদের জামাত আদায়ের সুযোগ থাকলেও তা করতে হয়েছে প্রত্যেক মুসল্লিকে তিন ফুট দূরত্বে কাতারবন্দি হয়ে। সেজন্য অনেকে বাসা-বাড়িতে ইদের নামাজ আদায় করেছেন। অনেকে ইদের নতুন কাপড়-চোপড় পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন। ঘরবন্দি এবারের ঈদ হয়ে উঠেছে অনলাইনময়।

রাকিবুল হাসান। চাকরি করেন একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায়। করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকি বিবেচনায় চাঁদপুরে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে যাননি। কিন্তু বাড়ি যাননি বলে ইদুল ফিতরের এমন আনন্দঘন দিনে পরিবারের সাথে দেখা হবে না, তা তো হয় না। তাই সোমবার (২৫ মে) সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তিনি ফেসবুক মেসেঞ্জারে ভিডিও কল দেন গ্রামের বাড়িতে। মা, বাবা, বড় বোনের সাথে ভিডিও কলে কথা বলেন, ইদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর আপনজন, বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশীসহ পরিচিতদের সাথে ভিডিও-অডিও কলে ভাগাভাগি করে নেন আনন্দ।

শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনার কারণে এবার জাতীয় ইদগাহ, শোলাকিয়া ময়দানসহ বড় বড় ময়দানগুলোতে ইদের জামাত হয়নি। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে ইদের জামাত আদায়ের সুযোগ থাকলেও তা করতে হয়েছে প্রত্যেক মুসল্লিকে তিন ফুট দূরত্বে কাতারবন্দি হয়ে। সেজন্য অনেকে বাসা-বাড়িতে ইদের নামাজ আদায় করেছেন। অনেকে ইদের নতুন কাপড়-চোপড় পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন। ঘরবন্দি এবারে ইদ হয়ে উঠেছে অনলাইনময়।

রাকিবুল হাসান বলেন, এবার আমার ইদ অনেকটাই অনলাইনকেন্দ্রিক। ঘুম থেকে উঠে আপু, আম্মু, আব্বুর সাথে মেসেঞ্জারে ভিডিও কলে কথা বলি। তারপর বন্ধু-বান্ধবের সাথে কথা বলি। চরম আতঙ্কের মধ্য দিয়ে সময় যাচ্ছে বলে যেখানে আছি, সেখানে থাকাটাই আমার কাছে নিরাপদ মনে হয়েছে। তবে ভিডিও কলের সুযোগ থাকায় পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে দেখা হয়েছে।

ইদের সাজে নিজের ছবি পোস্ট করে কবির আহমদ নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন,ইদের নামাজের ইমামতি করলাম। খুতবাও দিলাম। মা-বাবা, ভাই-ভাবি, ভাতিজিকে নিয়ে আরশের মালিকের কাছে হাত তুললাম। কয়জন সন্তানের এ সৌভাগ্য হয়! আমরা ভাগ্যবানদের কাতারেই থাকলাম। করোনা আমাদের কত কিছুই না শেখালো।…ইদ মোবারক।

একই উপজেলার হলেও অনেকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে মেসেঞ্জার ভিডিও কলে মিলিত হয়েছেন। যেমন প্রতি ইদে এক হলেও এবার ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ল্যাংড়া বাজার এলাকার এনামুল হক, একই উপজেলার রাজাবাড়ী গ্রামের আলমগীর হোসেন ও শিবরামপুর গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম মেসেঞ্জারে ভিডিও কলে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। তারা বলছেন, এই বিপদ কেটে গেলে আগামী ইদে হয়তো তারা একসাথে কোথাও দেখা করতে পারবেন।

এছাড়া গতকাল রবিবার (২৪ মে) থেকে অনেকেই ফেসবুকে, মেসেঞ্জারে লেখে, স্টিকার পোস্ট করে ইদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *