বাঘায় মামলা হলেও উদ্ধার হয়নি স্কুলছাত্রী, আত্মগোপনে অভিযুক্তরা

রাজশাহী

বাঘা প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘায় এক স্কুলছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর পিতা আল মোমিন ওরফে লেলিন। ঘটনার পর, গত ২৮ মে রাতে বাঘা থানায় এ অভিযোগ করেন তিনি। ওইদিন সন্ধ্যার পর উপজেলার পীরগাছা গ্রামের মুঞ্জুরুল হক ওরফে মজনুর বাড়ির আঙ্গিনা থেকে জোরপূর্বক স্কুল ছাত্রীকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করা হয়। গত সোমবার(০১-০৬-২০২০) মামলা রেকর্ড করা হলেও ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার ও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

জানা যায়, গত ২৩মে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দা আল মোমিন, তার স্কুল পড়–য়া (নবম শ্রেণীর ছাত্রী) মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাঘা উপজেলার উপজেলার পীরগাছা গ্রামের বাসিন্দা, চাচাতো ভাই মুঞ্জুরুল হক ওরফে মজনুর (পিতা মৃত-জলিল মাষ্টার) বাড়িতে বেড়াতে আসে। ২৪মে মেয়েকে রেখে তার নিজ বাড়িতে চলে যান। গত ২৮মে বিকেলে দৌলতপুরের সোনাতলা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে পুনরায় চাচাতো ভাই মুঞ্জুরুল হক ওরফে মজনুর বাড়িতে আসেন। সেখান থেকে সন্ধায় স্থানীয় পীরগাছা বাজারে যান। বাজারে অবস্থান করা অবস্থায় রাত ৯টার দিকে তার চাচাতো ভাই মজনু মুঠোফোনে জানায়, কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার টিংকুসহ ৪/৫জন লোক এসে তার বাড়ির সামনের পাঁকা রাস্তা হতে ২টি মোটরসাইকেল যোগে জোরপূর্বক তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।

আল মোমিন ওরফে লেলিন জানান,সংবাদ পেয়ে তার চাচাতো ভাইয়ের বাড়ি গিয়ে স্থানীয় আমিরুল ইসলাম ও আলিফসহ কয়েকজনের কাছে জানতে পারেন. ২৮ মে রাত পৌণে ৮ঘটিকার দিকে মোটরসাইকেল যোগে আমার স্কুল পড়–য়া মেয়েক জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে গেছে। বিস্তারিত জানার পর টিংকু (২৫) পিতা হোসেন আলী,সেলিম (২৫) পিতা মহিবুল ইসলাম,সোহাগ (২০) পিতা শুকচান,পাপ্পু (২২)পিতা মৃত আবেদ আলী,সর্ব সাং সোনাতলা দৌলতপুর,কুষ্টিয়া,সুলতান আলী(৩৬) ওরফে জোয়াদ আলী পিতা মৃত ইমাজ উদ্দিন সাং পীরগাছা ও গোলাম হোসেন(৫০) পিতা অজ্ঞাত সাং বাজুবাঘা নতুনপাড়া বাঘা রাজশাহীকেসহ ৭ জনকে আসামী করে বাঘা থানায় অভিযোগ করি। গত ৩০মে আমার মেয়ে মুঠোফোনে জানায়, আমাকে তারা আটকিয়ে রেখেছে। একথা বলতেই ফোন কেড়ে নেয় । পরে কথা বলার চেষ্টা করেও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তিনি জানান, আমার চাচাতো ভাই মুঞ্জুরুল হক ওরফে মজনু (পিতা মৃত-জলিল মাষ্টার) কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সোনাতলা গ্রাম থেকে এসে বর্তমানে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পীরগাছা গ্রামে বসবাস করছে। যোগাযোগ করে না পাওয়ায় মামলায় অভিযুক্তদের সাথে কথা বলা সম্বব হয়নি।

মামলার তদন্তকারি অফিসার এসআই আনোয়ার হোসেন জানান,অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের গ্রেফতার ও ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেননি। তবে খোঁজ খবর নিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধারসহ তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *