আল-আফতাব খান সুইট, নাটোর: নাটোরের নলডাঙ্গার এক প্রবাসীর ব্যাংক একাউন্ট হ্যাক করে তিন দফায় ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাইবার দুর্বত্ত। ব্র্যাক ব্যাংক নাটোর শাখায় এমন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সুরুজ আলী নামে ওই ব্যাংকের এক দুবাই প্রবাসী গ্রাহক। নাটোর কানাইখালী অবস্থিত ব্র্যাক ব্যাংক শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ১৭ দিন পার হলেও এখনও কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় নাটোর সদর থানায় সাধারন ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগি সুরুজ আলী। তবে নাটোর ব্র্যাক ব্যাংক শাখা অভিযোগ পেয়ে ব্যাংকের আইসিটি বিভাগের তদন্তে ৭৫ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবী করে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানান ব্র্যাক ব্যাংক নাটোর শাখা ম্যানেজার এম ডি আবু সাঈদ।
দুবাই প্রবাসী সুরুজ আলী মৃধা (৩৩) নলডাঙ্গা উপজেলার দুলর্ভপুর গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর তিনি দেশে ফিরে আসেন।
নাটোর ব্র্যাক ব্যাংক শাখায় ও নাটোর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার দুর্ভলপুর গ্রামের প্রবাসী সুরুজ আলী ২০১৪ সালে নাটোর কানাইখালি ব্র্যাক ব্যংক শাখায় একাউন্ট খুলে নিয়মিত লেনদেন শুরু করেন। গত ২৭ জুলাই রাত ১২ টা ২৬ মিনিটে ০১৬০৯০২৯৯৩৫ মোবাইল নাম্বারে ২০ হাজার টাকা, এর দুই মিনিট পর ০১৮৯৩৭২৮৯১৭ নাম্বারে ৯ হাজার ৯৮৯ টাকা ও দুই মিনিট পর ০১৬০৯০২৯৯৩৫ নাম্বারে ১০ হাজার টাকা একাউন্ট হ্যাক করে মোট ৪০ হাজার টাকা বিকাশে ট্রান্সফার করে সাইবার দুবৃর্ত্তরা। তিন দফায় ৪০ হাজার টাকা একাউন্ট থেকে বের করার পর মোবাইলে তিনটি ম্যাসেজ পার একাউন্ট গ্রাহক সুরুজ আলী। মোবাইলে ম্যাসেজ পেয়ে সুরুজ আলী ব্র্যাক ব্যাংকের হটলাইন নাম্বারে অভিযোগ করে একাউন্ট বন্ধ করে দেন। পরদিন একাউন্ট গ্রাহক সুরুজ আলী ব্র্যাক ব্যাংক নাটোর শাখায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে নাটোর সদর থানায় সাধারন ডায়েরি করেন। এ ঘটনার প্রায় ১৭ দিন পার হলেও একাউন্ট থেকে হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধার এবং কেউ শনাক্ত না হওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন সুরুজ আলী ও তার পরিবার।
গ্রাহক সুরুজ আলী ক্ষোভ করে বলেন,আমার পরিবারের অথবা আমার আত্মীয় স্বজন কেউ এ ঘটনার সাথে যদি যুক্ত থাকে তা বের করে শনাক্ত করার অনুরোধ করেছি। কিন্ত ব্যাংক কৃর্তপক্ষ এতদিনও কেন এ অপরাধী কে শনাক্ত করতে পারলো না।
নাটোর ব্রাক ব্যাংক শাখা ম্যানেজার এম ডি আবু সাঈদ সাংবাদিকদের জানান, একাউন্ট হ্যাক করে টাকা নেওয়া ব্র্যাক ব্যাংকে সম্ভব নয়। তবে গ্রাহক সুরুজ আলীর অভিযোগ পেয়ে ব্যাংকের আইসিটি বিভাগের তদন্তে ৭৫ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবী করে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
স্ব.বা/বা