রাজশাহীর তাহেরপুরে বিট পুলিশিং কার্যালয়ের উদ্বোধন

রাজশাহী

বাগমারা প্রতিনিধি: আপনার পুলিশ আপনার পাশে, তথ্য দিন সেবা নিন “বিট পুলিশিং বাড়ী বাড়ী, নিরাপদ সমাজ গড়ি”প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তাহেরপুর পৌরসভায় বিট পুলিশিং কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। বাগমারা থানা পুুলিশের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে তাহেরপুরে বিট পুলিশিং এর ১৮ নং কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন রাজশাহী পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ বিপিএম, পিপিএম।

সোমবার দুপুর ১২ টায় তাহেরপুর পৌরসভা চত্বরে পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিট পুলিশিং কার্যালয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে শুরুতে ফিতা এবং কেক কাটা হয়। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাগমারা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব, বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান, তাহেরপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন, তাহেরপুর পৌর আ’লীগের সভাপতি আবু বাক্কার মৃধা মুনছুর।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাগমারা থানার ওসি (তদন্ত) আফজাল হোসেন, তাহেরপুর পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন মৃধা, কাউসার আলী, পৌর কাউন্সিলর বাবুল খাঁ, রইচ উদ্দীন, তাপস কুমার পিন্টু সহ পৌর আ’লীগ ও অংগ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এতে উপস্থিত ছিলেন, তাহেরপুর পৌরসভার বিট অফিসার তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই রাসেল আহম্মেদ, সহকারী বিট অফিসার এএসআই হারুন অর রশিদ প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজশাহীর পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ বিপিএম, পিপিএম বলেছেন, বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে পুলিশের সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে। সেই সাথে পুলিশের সেবার কার্যক্রমকে গতিশীল ও কার্যকর করা এবং পুলিশের সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে প্রতিটি থানাকে ইউনিয়ন ভিত্তিক এক বা একাধিক ইউনিটে ভাগ করে বিট পুলিশিং পরিচালিত হবে। পাশাপাশি এলাকা থেকে মাদক, বাল্য বিবাহ বন্ধ করণ, চোরা কারবারী বন্ধ সহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধের বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার করা।

বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে সেবাকে সরাসরি থানা থেকে তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃতিকরণ এর ফলে থানায় মোতায়েনকৃত জনবলের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা। প্রান্তিক পর্যায়ে জনসম্পৃক্তির মাধ্যমে এলাকার উত্থিত বা বিরাজমান সমস্যার প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ। এতে করে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা ও অপরাধ সংক্রান্ত অগ্রিম গোপন সংবাদ এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সমাজ থেকে অপরাধভীতি দূরীকরণপূর্বক জনমনে স্বস্তি ও আস্থা স্থাপন করা। ফলে জনসাধারণের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ তৈরি করা সম্ভব হবে।

সেই সাথে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী জনগণের আস্থা অর্জনে সর্বাত্মাক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণের যে কোন দুর্ভোগে পুলিশ বাহিনী সর্বদায় কাজ করে চলেছে। বাগমারা থানা পুলিশের উদ্যোগে পর্যায়ক্রমে উপজেলা ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় বিট পুলিশিং কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *