নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ২০১৯-২০২০ আখ মাড়াই মৌসুমের বিক্রিকৃত আখের মূল্য পরিশোধের দাবিতে বৈঠক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পরবর্তী কর্মসূচির স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।
২৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নাটোর সুগার মিলস লিঃ এর বাগাতিপাড়া সাবজোন অফিসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াঙ্কা দেবী পালের হাতে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
স্মারক লিপির উল্লেখিত বিষয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৯-২০২০ আখ মাড়াই মৌসুমে ২১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত তারা তাদের উৎপাদনকৃত আখ নাটোর চিনি কলের বাগাতিপাড়া সাবজোন এর বিভিন্ন আখ ক্রয় কেন্দ্রে সরবরাহ করেন। এর মধ্যে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত আখের মূল্য পরিশোধ করেছে। মাড়াই মৌসুম শেষ হওয়ার পরে পাঁচ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও চাষীদের সরবরাহকৃত সম্পূর্ণ আখের মূল্য পরিশোধ না করে বিভিন্ন তালবাহানা করছে। চাষীরা বিভিন্ন সময় নাটোর চিনি কলের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেও কোনো ফল পাননি।
স্মারক লিপিতে আরো উল্লেখ আছে, গত ২৪ আগস্ট ২০২০ এ পুনরায় তারা নাটোর চিনি কলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর সাথে সাক্ষাৎ করে দ্রুত তাদের ন্যায্য পাওনা টাকা পরিশোধের জোর দাবি জানালে ব্যবস্থাপক আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাষীদের সকল টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন। সেই মর্মে উক্ত সাব জোনের চাষীরা আজ বৃহস্পতিবার ২৭ আগস্ট সকালে সকল কেন্দ্রের আখ চাষী নেতৃবৃন্দ একটি বৈঠকের মাধ্যমে আগামী মাসের ১ তারিখের মধ্যে সকল টাকা পরিশোধ না হলে পরবর্তী কার্যক্রমের ঘোষণা দেন।
কার্যক্রমগুলো হলো, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন, সাবজোন অফিস সহ মিলের বিভিন্ন সাইড অফিস অবরুদ্ধ করা, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অবরুদ্ধ/ তালাবদ্ধ করণ, চিনি কলের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করণ, আখ রোপণ, আখ মাড়াই সহ চাষীদের চিনি কল সংশ্লিষ্ট সকল কাজ বন্ধ করণ এবং প্রয়োজনে আর কঠোর কার্যক্রম হাতে নিবেন তারা।
এই সাব জোনের আওতার আখ চাষীরা প্রায় ৩ কোটি টাকা পাবে বলেও স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত বৈঠকে বাগাতিপাড়া সাবজোন প্রতিনিধি আশরাফুল আলম খান ডাবলু সহ অন্যান্য আখ ক্রয় কেন্দ্রের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্ব.বা/শা