আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অভিবাসী কর্মীদের সুবিধায় কাতারের শ্রম আইনে এসেছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত শ্রমিকবান্ধব পরিবর্তন। কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
শ্রম আইনে পরিবর্তনের ফলে এখন থেকে নিয়োগকর্তার অনাপত্তি পত্র ছাড়াই কাতার প্রবাসী শ্রমিকরা তাদের চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন। সেই সঙ্গে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ন্যূনতম মজুরিও। রোববার দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয় আইনের এই পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে।
কাতারের শ্রম আইনে কর্মীদের অধিকারের বিষয়টিকে উপেক্ষা করার অভিযোগ ছিলো বহু আগে থেকে। তবে দেশটিকে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক ঘোষণার পর থেকেই ব্যাপক আলোচনায় আসে বিতর্কিত এ আইন।
বিশেষ করে নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণসহ অবকাঠোমো উন্নয়নে অভিবাসী শ্রমিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য এবং অনিয়মগুলো হয়ে উঠেছিল উদ্বেগের কারণ। এ অবস্থার উন্নয়নে ধারাবাহিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে শ্রম আইনের এই ঐতিহাসিক পরিবর্তন।
কাতারের কাফালা ব্যবস্থায় অভিবাসী কর্মীদের এখন থেকে কর্মস্থল পরিবর্তনের জন্য নিয়োগদাতার এনওসি নিতে হবে না। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নির্দিষ্ট সময়ের নোটিশে চাকরি ছাড়তে পারবেন কর্মীরা।
কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চুক্তির প্রথম দুই বছরের মধ্যে কর্মস্থল পরিবর্তন করতে চাইলে কর্মীদের এক মাস এবং দুই বছরের পরের চুক্তিতে থাকলে দুই মাসের নোটিশ দিতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেসব জায়গায় কর্মীরা নতুন আইনে নির্ধারিত সর্বনিম্ন মজুরি এক হাজার রিয়ালের কম পাচ্ছেন, তাদের চুক্তি হালনাগাদ করতে নিয়োগদাতাদের সঙ্গে কাজ করবে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়।
অফিসিয়াল গ্যাজেট আকারে প্রকাশের ছয় মাস পর থেকে কার্যকর হবে এ নিয়ম। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।
স্ব.বা/শা