রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয়েছে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ। শনিবার (২০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় মহাসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৯টা থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী-সমর্থকরা আসতে শুরু করেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ভরে যায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীতে।
এসময় এসব কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তারা সঙ্গে আনা লাঙ্গল প্রতীক একে অন্যের দিকে ছুঁড়ে দিতে থাকেন, সমাবেশস্থলের চেয়ারও ছোড়াছুড়ি করেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এর মধ্যে একজন মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত সম্মিলিত জাতীয় জোটের অন্যতম শরিক দল খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরাও যোগ দিয়েছেন এই মহাসমাবেশে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে যোগ দেয়। এসময় তাদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এছাড়া, মহাসমাবেশ ঘিরে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চও দখল করে নেন খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরা। মঞ্চের সামনের অংশও তারা দখল করে রাখেন। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়।
সকাল পৌনে ১১টার দিকে কোরান তেলওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
সমাবেশে যোগ দিয়েছেন চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। এছাড়া পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ সিনিয়র অনেক নেতাও পথে রয়েছেন। তবে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুসহ দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং দলীয় সংসদ সদস্যরা এরই মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন সমাবেশে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাসমাবেশ থেকে আগামী নির্বাচন, জোট গঠনসহ রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ। পাশাপাশি তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নানান দিক-নির্দেশনা দেবেন।