স্বদেশ বাণী ডেস্ক: কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র দুই পক্ষের সংঘর্ষে ফরিদ হোসেন (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার সকাল সাতটার দিকে গ্রামের মাদ্রাসাপাড়া মোড়ে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।
নিহত ফরিদ স্থনীয় বাসিন্দা মৃত ময়েন ফারাজির ছেলে ও রাশিদুল-লাবু পক্ষের সমর্থক। তার বাড়ি ভবানীপুরে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। তিনি একটি কারখানার নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেন মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত এক সপ্তাহ পূর্বে এক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত আলী বাদশা-রেজা মন্ডল পক্ষের সাথে রাশিদুল-লাবু পক্ষের লোকজনদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের জের ধরে শনিবার সকালে রাশিদুল ও শকাতি পক্ষের সমর্থকরা বাদশা এবং রেজা মন্ডলের বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাংচুর করে। এসময় উভয় পক্ষের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এতে দেশিয় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে ফরিদ হোসেন নামের একব্যক্তি নিহত হন। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।
স্ব.বা/শা