স্টাফ রিপোর্টার, তানোর : রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নৌকা নিয়ে রং তামাশা শুরু করেছেন বলে তৃণমূল আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে।
এছাড়াও সম্প্রীতি, ৩০জানুয়ারী তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হওয়া মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী তার অনুগত সাইদুর রহমানকে বিদ্রোহী( স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবে জগ প্রতীকে দাঁড় করিয়ে ভোটের মাঠে সেই জগের পানি ঢেলে প্রকাশে নৌকা ডুবিয়ে এবার তানোর পৌরসভার নৌকা ডোবাতে শুরু করেছেন বিভিন্ন রং তামাশা।
শুধা তাই না, এর আগেও তানোর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগকে ফেল করান বর্তমান নৌকার প্রার্থী ইমরুল হক। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম রাব্বানীর নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে তারই সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন চাকা মার্কা নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দুইবার নৌকাকে বিপুল পরিমাণ ভোটে বিএনপির কাছে পরাজিত করান আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তার পরেও গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর নৌকা মার্কাকে ফেল করাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী তার ছোট ভাইকে নৌকার বিরুদ্ধে ওয়াকার্স পার্টির হাতুড়ি মার্কা দিয়ে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করান,তবে সেইবার হাতুড়ি বাটালকে বিপুল ভোটে পিছনে পেলে বিজয়ী হন নৌকার মাঝি লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না। তার পরেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা তাদের ক্ষমা করে দেন। কিন্তু তাঁরা নৌকা ফুটো করতে কিছুতেই থামছেননা রাব্বানী ও মামুন। তারাঁ দুইজন নিজের ইচ্ছে মত আওয়ামী লীগের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিভেদ সৃষ্টি করতে মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে।
যা এবার পৌরসভা নির্বাচনে ধরা পড়ে তাদের চক্রান্তে রহস্য। এতে করে তাদের এমন নৌকা ডোবানোর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থকরা। জানা গেছে, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে তিনবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন দেয়ার জন্য চিঠি দিলেও তাঁরা কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করে চিঠির কোন জবাব দেননি তাঁরা দুইজন।
যার ফলে, বর্তমানে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের অবস্থা হ য ব র ল হয়ে পড়েছে দলীয় কার্যক্রম। মুন্ডুমালা পৌরসভয় নৌকা ডোবার বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানীর সাথে কথা বলা হলে তিনি সব কথা এড়িয়ে ঢাকার ডাককে বলেন, নৌকার চাইত এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুর রহমানের জনপ্রিয়তা বেশি, তাই নৌকাকে ভোট না দিয়ে সাইদুর রহমানের জগ মার্কায় ভোট দিয়েছেন পৌরবাসী। এতে আমার কি করার আছে। আমি নিজেই এমপি ভোট করার জন্য তানোর-গোদাগাড়ীতে দৌড়ের ওপরে আছি বলে তিনি আরো বলেন, নৌকায় এখন আর কেউ চড়তে চায়না মানুষ এতে আমার কি করার আছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নিজেকে দাবি করেন আর তলে তলে জগের পানি ঢেলে নৌকা ডোবাচ্ছেন তার নিজ সেন্টারে। যেখানে কোনদিন নৌকা ফেল করেননি অথচ এবার তার নিজের ভোট দেয়া সেন্টারে ফেল করেছে নৌকা, যা কখনো মেনে নেওয়ার মত না। মুন্ডুমালা পৌরসভার নৌকা ডুবিয়ে এবার এসেছে তানোর পৌরসভার নৌকা ডোবাতে। আসলে এরা কখন কোন দল করে তারা নিজেরাই জানেনা। তা নাহলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে তাকে দুইবার ফেল করান তারই সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার পরেও তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে আওয়ামী লীগ বিরোধী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন নৌকার বিরুদ্ধে। এতে করে তাদের ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সমর্থকরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন বলে তিনি জানান।