মোঃ আব্দুল হামিদ মিঞা,বাঘা:
ভবনের বিভিন্ন জায়গায় খসে পড়ছে পলেস্তারা । বিকৃত হয়ে গেছে দেয়ালের রঙ। বাথরুমের কমটের ফ্লাশ,দরজার অবস্থাও করুণ। অতিথিদের ব্যবহারের সোফা, শোয়ার খাটগুলো নড়ভড়ে। রঙ দেখলেই বোঝা যায় বিছানার চাদরগুলো অনেক আগের। নেই রুচি সন্মত প্লেট,গ্লাস ও জাগ । দীর্ঘদিন অকেজো হয়ে পড়ে আছে খাবার পানির টিউবওয়েলটি । দীর্ঘদিন থেকে জল মটারটি(সাব মার্সেবুল মটার) নষ্ট। বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকিও কম নয়। তাই রুচিশীল কোন অতিথি কিংবা সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এসেও থাকতে চান না। এদিকে সশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর উদাসীনতার কারণে ডাক বাংলোটি বাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
জীর্ণদশার ডাক বাংলোটি রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদরে ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ ও বিশাল দিঘির পাড় সংলগ অবস্থিত। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,ওয়াকফ এস্ট্রেটের দানকরা সম্পত্তিতে ডাকবাংলোটি প্রতিষ্ঠিত করা হয় ১৯৭৯ সালে। কয়েক বছর আগে পূর্ণঃনির্মাণে একতলা বিশিষ্ট ডাংবাংলোটি দ্বিতল করা হয়েছে। পরে আর কোন সংস্কার করা হয়নি। জেলা পরিষদ রাজশাহী কর্তৃক পরিচালিত ডাক বাংলোটি যুগেপোযোগি আধুনিক মডেলের নির্মাণের দাবি এলাকাবাসির।
বাঘা পৌর এলাকার মিলিক বাঘা গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মনোয়ারুল ইসলাম মামুন জানান, এ ভবনে অস্থায়ীভাবে বিশ্রাম নিতে মন্ত্রী, সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ দেশের বাইরের অনেক বিদেশীরা রাত্রিযাপন করে। সেই বিবেচনায় ডাকবাংলোটি যুগ উপযোগী নয়। এ বিষয়ে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে ভবনটি পুনঃসস্কারের মাধ্যমে আধুনিকতায় ফিরে আনা জরুরি। এতে অঘোষিত পর্যটন খ্যাত ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ, শাহ দৌলা (রহঃ) মাজারসহ সুবিশাল দিঘি পরিদর্শনে আসা মানুষগুলো রাত্রি যাপনে আগ্রহি হবে।
ডাকবাংলোর কেয়ারটেকার মনিরুল ইসলাম জানান, পাশে থাকা পোষ্ট অফিসের টিওবয়েল থেকে অতিথিদের পানি এনে খাওয়াতে হয়। সাধারণ একটি মটার আছে, সেটা দিয়ে দ্বিতীয় তলায় পানি উঠাতে অনেক সময় লাগে। এতে বিদ্যুতের বিলও বেশী হয়। ডাকবাংলোর সমস্যার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে অবগত করানো আছে।
বাঘা উপজেলার নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা জানান, ডাকবাংলোটি জেলা পরিষদের আওতায়। আমি যোগদানের পর থেকে ভবনটি এমন অবস্থায় দেখছি। ভবনটি সংস্কারের জন্য জেলা পরিষদকে অবহিত করা হয়েছে।
রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহি আহসান হাবীব বলেন, ডাকবাংলোটি পুণঃসস্কারের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হবে। যার কার্যক্রম দ্রুত সময়ের মধ্য শুরু হবে।