আইনি ঝামেলা পিছু ছাড়ছে না ট্রাম্পকে

আন্তর্জাতিক

স্বদেশবাণী ডেস্ক: নতুন করে আইনি ঝামেলায় পড়তে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতিমধ্যে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।

সেখানে নির্বাচন কর্মকর্তাকে ফোন করে ভোটের ফল পাল্টে দেওয়ার যে নির্দেশ ট্রাম্প দিয়েছিলেন, সেই অভিযোগের তদন্ত এখন গতি পাচ্ছে।

জর্জিয়ার ফুলটন কাউন্টির অ্যাটর্নি জেনারেল ফেনি উইলস বলেন, তদন্তের মাধ্যমে অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার জন্য কোনো নির্দেশ বা চেষ্টার সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তির সামাজিক বা অন্য কোনো অবস্থান বিবেচনা না করেই মামলা পরিচালিত হবে। মার্চের মধ্যেই জর্জিয়ার তদন্তের ফল পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিউইয়র্কে আগে থেকেই চলমান অপরাধ তদন্ত নড়াচড়া শুরু করেছে। এ ছাড়ার তার বিরুদ্ধে একাধিক নারীর মামলা ঝুলে আছে।

নিউইয়র্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবসায়িক লেনদেন, কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য হিসাব বিবরণীতে গরমিলের তদন্ত চলছে। অভিশংসন আদালতে অব্যাহতি পেলেও ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় আইনে ট্রাম্প অভিযুক্ত হতে পারেন।

ওয়াশিংটন ডিসির অ্যাটর্নি জেনারেল কার্ল রেসাইন সতর্ক করে বলেন, ফেডারেল তদন্তে সাবেক প্রেসিডেন্ট স্থানীয় আইনে অভিযুক্ত হতে পারেন।

এ ছাড়া ট্রাম্প ক্যাপিটলের দাঙ্গা উসকে দিয়েছিলেন এবং দোষী সাব্যস্ত না হলে তিনি ফের এমনটি ঘটাতে পারেন বলে সতর্ক করে দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধিরা।

দাঙ্গা উসকে দেওয়ার জন্য দোষারোপ করে গত মাসে ট্রাম্পকে অভিশংসিত করে মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ। এই পরিষদ থেকে আসা আইনপ্রণেতারা চলতি সপ্তাহে সিনেটরদের কাছে তাদের মামলা উপস্থাপন করেছেন।

বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচারে ডেমোক্র্যাট কৌঁসুলিরা ওই সহিংসতার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক তুলে ধরতে দাঙ্গাকারীদের বলা কথা ব্যবহার করেছেন, পাশাপাশি এই দাঙ্গায় দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করেছেন।

তাদের মামলা এগিয়ে নিতে ডেমোক্র্যাটরা পুলিশ, ক্যাপিটলের কর্মী, গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও বিদেশি গণমাধ্যমের বর্ণনাও উপস্থাপন করেছেন।

নিজেদের চূড়ান্ত বক্তব্য হিসেবে তারা বলেছেন, ট্রাম্প সম্পদ, জনগণ ও গণতন্ত্রের ক্ষতি করেছেন।

নিজের পদক্ষেপের জন্য ট্রাম্প কোনো অনুশোচনা প্রকাশ করেননি বলে জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি ট্রেড লিউ। তিনি বলেন, যেহেতু অভিশংসন, দোষী সাব্যস্ত করা ও অযোগ্য ঘোষণা করা শুধু অতীতের বিষয়ের সঙ্গেই সম্পর্কিত নয়, এটি ভবিষ্যতের সঙ্গেও সম্পর্কিত, তাই কোনো ভবিষ্যৎ কর্মকর্তা, কোনো ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট যেন একই কাজ না করতে পারেন তা নিশ্চিত করা দরকার।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *