আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা:
রাজশাহীর বাঘায় দুই বছর যাবত কেন্দ্রীয় পাঠাগার বন্ধ রয়েছে। ফলে বর্তমানে পাঠাগারটি মাকড়সার জালে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। পাঠাগারে পর্যাপ্ত বই থাকলেও লোকবল না থাকায় তা বন্ধ হয়ে গেছে।
সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৮ সালে উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগার প্রতিষ্টিত হয়। বর্তমানে পাঠাগারে আড়াই হাজার বই রয়েছে। সপ্তাহে শুক্রবার ও শনিবার ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৪টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত নিয়মিত খোলা হতো। কিন্তু বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবে বেতন দিতে না পরায় একেবারে বন্ধ রয়েছে।
পাঠাগারের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত আব্দুল মজিদ জানান, আমি ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত আড়াই হাজার টাকা সম্মানী ভাতায় দায়িত্ব পালন করেছি। পরবর্তীতে ভাতা বন্ধ করে দেয়ায় আমি সেখানে আর যায়নি। বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে প্রথমের দিকে পাঠাগারে বই সংখ্যা কম থাকলেও পাঠকের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। পরবর্তীতে বই সংখ্যা বাড়লেও পাঠক সংখ্যা আস্তে আস্তে কমতে থাকে।
কারণ হিসেবে বলেন, বর্তমান প্রজম্ম চাই নতুন নতুন বই। কিন্তু পাঠাগারে ২০০৯ সালের পর নতুন কোন বই আসেনি। বর্তমান প্রজন্মের লেখকদের বই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো পাঠাগারে আনলে পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং পাঠাগার খোলার ব্যবস্থা করতে হবে।
বাঘা শাহদৌলা সরকারি ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন জানান, পাঠাগারে যে বই রয়েছে, সেগুলো অনেক পুরাতন। রোমান্টিক উপনাস কিংবা গল্প কবিতার বই নেই। যার কারণে অনেকে পাঠাগারে আসার আগ্রহ হারিয়ে গেছে। বর্তমান ইমদাদুল হক মিলন, শামসুর রহমান, হুমায়ুন আজাদ, ড. জাফর ইকবাল প্রয়াত হুমায়ন আহম্মেদের কোন বই পাঠাগারে নেই।
স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষক আবুল কালাম পাঠাগার চালু করার দাবি জানিয়ে বলেন, দুই বছর পুর্বে বন্ধ হওয়া কেন্দ্রীয় পাঠাগার এখন মাকড়সা বাধা বেধেছে। এটি খোলার ব্যবস্থা করলে তরুণরা সেখানে গিয়ে বই পড়বে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, আমি এখানে যোগদানের পর থেকে পাঠাগারটি বন্ধ দেখছি। এ বিষয়ে আমাকে এর আগে কেউ কিছু বলেনি। তবে ইদানিং দু/একজন পাঠাগার চালু করার কথা বলেছে। শ্রীর্ঘই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।