স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগর যুবলীগের ১৪ নং ওয়ার্ড (পশ্চিম) শাখায় দলীয় কোন্দলের কারনেই রনির উপর হামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। অত্র ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মশিউর রহমান রনি ও বহিস্কৃত সাধারন সম্পাদক বাবর আলীর দন্দের কারনে এ হামলা হয়েছে। বাবর আলীকে সাধারন সম্পাদকের পদ থেকে বহিস্কার করাকে কেন্দ্র করে দুই নেতার মধ্যে এ দন্দের কারন বলে জানা গেছে। আর সে কারনেই গত ২৩ জুন সকালে রনির উপর হামলা চালায় তার প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন।
জানা গেছে রবিবার (২৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে মহানগর যুবলীগের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড (পশ্চিম) সভাপতি মশিউর রহমান রনি (৪০) নগরীর তেরখাদিয়া এলাকার বাসা থেকে মোটরসাইকেলে উপশহর নিউমার্কেট এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। এ সময় একই ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক বাবর আলীর নেতৃত্বে কয়েকজন তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার দুই হাত ও পিঠে উপর্যুপরি কোপ দেয়।
আর এ ঘটনায় রনির পরিবার ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার সহ দলীয় নেতাদের নামে মামলা করে। আর ঘটনার সময় সেখানে কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার উপস্থিত না থাকার পরেউ তার নামে মামলা করায় এলাকাবাসীর অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। অনেকের মাঝে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে ঘটনার সময় কাউন্সিলর আনার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেননা। ২২ জুন সারারাত সিটি কর্পোরেশনের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মসুচিতে ব্যাস্ত ছিলেন কাউন্সিলর আনার। সেই রাতে রাসিকের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মসুচিতে প্যানেল মেয়র সরিফুল ইসলাম বাবু, কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আব্দুল মমিন সহ অন্য কাউন্সিলররাউ সেই কমৃসূচীতে উপস্থি ছিলেন। রাসিকের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মসুচি শেষ করে ২৩ জুন সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন কাউন্সিলর আনার। ঘটনার সময় তিনি বাসায় ঘুমিয়ে থাকায় সে বিষয়ে কিছুই জানতেননা তিনি। আর সে কারনেই হামলার সাথে কাউন্সিলর আনারকে জড়িয়ে মামলা করায় এলাকাবাসী সহ দলীয় নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর আনার বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে আমি কোন কিছু জানা ছিলোনা। হামলার বিষয়ে আমার কোন সম্পৃক্ততা না থাকলেও আমাকে আসামি করা হয়েছে। আমার নামে মিথ্যা প্রচারনা চালাচ্ছে। তারা এসব অব্যহত রাখলে তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবো।
কোন প্রকার তদন্ত ছাড়ায় মামলা নেওয়ার সমালোচনা করে কাউন্সিলর আনার বলেন, আমি যেখানে উপস্থিত ছিলামনা সেখানে যাঁচায় বাছায় না করে আমাকে আসামি করে মামলা নিলো কিভাবে পুলিশ। কাউন্সিলর আনার দলীয় নেতাকর্মী সহ ওয়ার্ডবাসীকে উত্তেজনা না বাড়িয়ে ধর্য ধরার আহবান জানান।