স্বদেশবাণী ডেস্ক: দাগনভূঞায় মশার কয়েলের আগুনে পুড়ে ঝলসে যাওয়ায় হাসপাতালে নেয়ার পথে আবুল হাসেম মানিক (২০) নামে এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে।
ঘটনাটি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামের মনুভূঞা বাড়িতে শনিবার ভোরে ঘটে।
আবুল হাসেম মানিক উপজেলার গনিপুর গ্রামের মনুভূঞা বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ইউনিয়ন সহ-সভাপতি ও ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
নিহতের পরিবার জানায়, আবুল হাসেম মানিক শনিবার প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে রাতে বাড়িতে মশার কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে যায়। ভোর ৪টার সময় কয়েলের শেষ অংশ বিছানায় পড়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। তাতে বিছানা থেকে আগুন তার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তার গায়ে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভায়।
অগ্নিদগ্ধ মানিককে ফেনী সদর হাসপাতালে ভোরবেলায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। মানিককে ঢাকায় নেয়ার পথে কুমিল্লায় গাড়িতেই মৃত্যু ঘটে।
আগুনে মানিকের শরীরে ৮০ শতাংশ পুড়ে যায় বলে ফেনী সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান।
স্বজনরা লাশ বাড়িতে এনে রোববার বেলা ১১টায় জানাজা শেষে গনিপুরে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন।
স্থানীয় রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাশেদুল হক বাবর যুগান্তরকে জানান, আমি দুইদিন যাবত চিকিৎসা নিতে চট্টগ্রাম অবস্থান করছি। তবে বিষয়টি শুনেছি।
মানিকের বাবা আবুল কাশেম আমাকে জানিয়েছেন, তার ছেলে মশার কয়েলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঝলসে শরীর নিয়ে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।