বাগমারায় অধিকাংশ বিলের মুখে বাঁধ দেওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে বন্যার পানি চলাচল

রাজশাহী লীড

বাগমারা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাগমারায় প্রায় সব বড় বড় বিলে কৃত্রিম বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। আর এর পিছনে রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

বাগমারা উপজেলা প্রশাসন গত ১৭ জুলাই থেকে বিলের মুখ উন্মুক্ত করা জন্য অভিযান শুরু করে। জনগণ বাগমারা উপজেলা প্রশাসনের এ অভিযানকে স্বাগত জানায়। মাত্র দুটি বিলের মুখের প্রতিবন্ধকতা দূর করা হয়েছে। কইচা বিলে বানা কেটে জাল দিয়ে ঘিরে মাছ চাষের পরামর্শ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। অপর দিকে কোলা বিলের বাঁশের ফারাস জাল দড়ি পুড়িয়ে নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে। কোলা বিল মৎস্য চাষ প্রকল্পের সভাপতি হাসান আলী অভিযানের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। তিনি সবার জন্য একই আইন প্রয়োগের দাবী জানান।

সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমনি আউচপাড়া, শুভডাঙ্গা, নরদাশ, গোবিন্দপাড়া, দ্বিপপুর, বাসুপাড়া কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের কয়েকটি বিলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা মিলে। কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের কোয়ালীপাড়া হাইস্কুলের সামনের নাক কাটি বিলের ব্রিজের নিচে লোহার খাঁচা দিয়ে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করা হয়েছে। নরদাশ ইউনিয়নে মাছ চাষকৃত দিঘলীর বিলের পানি, (হাট জুলাপাড়ার পশ্চিম দিকে) পার্শবর্তী বিলের পানি থেকে কমপক্ষে ৩/৪ হাত উঁচুনিচু দেখা গেছে।
দ্বিপপুর ইউনিয়নের লিকড়া বিলে কালিতলা ব্রিজের আগে মাটির কৃত্রিম বাঁধ দিয়ে পানি আটকানো আছে। সেখানেও পানি ৩/৪ হাত উঁচু রয়েছে। গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের ড্যামার বিলেও অবৈধ ভাবে মাছ চাষ করা হচ্ছে।

বিলধারের আশে পাশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামীলীগ সমর্থিত তিনজন বর্তমান ও একজন সাবেক চেয়ারম্যান এবং একজন কমিউনিস্ট পার্টি সমর্থিত চেয়ারম্যান স্ব-স্ব এলাকার বিলে সরাসরি মাছ চাষে সংযুক্ত। মৎস্য কর্মকর্তা এলিজা খাতুন জানান, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিউল ইসলামের সরকারি মুঠোফোনে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমার ব্রিজ-কালভার্টের নিচে যাঁরা প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করেছে কাহারো চেহারার দিকে তাকাবো না, সব অপসারণ হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *