বাঘা প্রতিনিধি:
ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহ রূপ নেয়ায় রাজশাহীর বাঘাতেও সাধারণ মানুষের মধ্যে এখন মশা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে ডেঙ্গুর আতঙ্কের কারণে অনেক সুস্থ মানুষও হাসপাতালে দৌড়াচ্ছেন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ভয় এখন সাধারণ মানুষের মধ্যে আর সীমাবদ্ধ নেই। চিকিৎসক ও নার্সদের মধ্যে ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় কাজ করছে।
এেিদকে বাঘায় একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বাঘায় পাওয়া গেছে। তবে ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে বাঘায় নিজ গ্রামে এসেছেন বলে জানা গেছে। শনিবার (৩-৮-১৯) বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা.সিরাজুল ইসলামের চেম্বারে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট ও ব্যবস্থাপত্র নিয়ে দেখাতে এসেছিলেন ডেঙ্গু আক্রান্ত মুক্তি (২২) নামের মেয়েটি।
এ বিষয়ে ডাঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকার মোহাম্মদপুর পপুলার ডায়াগনষ্ট্রিক সেন্টারে পরীক্ষা করে তার ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। সে ঢাকার আগাঁরগায়ে এলজিইডি অফিসে কাজ করতো। আক্রান্তের পর ঢাকা থেকে নিজ গ্রাম মিলিক বাঘায় এসেছেন মুক্তি (২২) নামের মেয়েটি। তার হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত কোন রোগী পাওয়া যায়নি। তবে মানুষের উদ্বেগ দূর হচ্ছে না। ঈদের আগে এই মুহূর্তে স্কুল-কলেজ খোলা থাকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। নিজেদের এবং সন্তানদের নিয়ে বেশি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন তারা। ডেঙ্গু আতঙ্কে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করণের জন্য আবাসিক মেডিকেল অফিসার ড.আকতারুজ্জামানকে প্রধান করে ৩ সদস্য টিম গঠন করে ডেঙ্গু কর্ণার খোলা হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যক্তি সচেতনতার মাধ্যমে ডেঙ্গুর উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করে অল্পদিনেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এই মুহূর্তে ডেঙ্গুর প্রকোপ বন্ধ করতে প্রত্যেকের বাড়ির আশপাশে জমে থাকা পানি বিশেষ করে, টব, পলিথিন, ডাবের খোসা ইত্যাদিতে যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিকে যাতে কোন মশা আর কামড়াতে না পারে সেদিকেই সতর্ক থাকতে হবে। শিশুদের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে। ব্যক্তি সচেতনতার এই উদ্যোগ নেয়া হলে মহামারি রোধ করা সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন।