দেড় বছর পর পেট থেকে বের করা হলো সেই কাঁচি

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক: অবশেষে চার ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর পেট থেকে বের করা হলো সেই কাঁচিটি। তবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি মনিরা খাতুনের (১৮)। এছাড়া দেড় বছর ধরে কাঁচিটি পেটের ভেতর থাকার কারণে তার নাড়ির কিছু অংশে পচন ধরেছে। পচনগুলো কেটে ফেলতে হয়েছে। এমনও হতে পারে তার কৃত্রিম নাড়ি লাগানো লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হয়।

এতে নেতৃত্ব দেন হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রতন কুমার সাহা। মনিরা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ঝুটিগ্রামের খায়রুল মিয়ার মেয়ে।

ডা. রতন কুমার সাহা বলেন, বিষয়টি বেশ জটিল ছিল। কারণ কাঁচিটি প্রায় দুই বছর ধরে পেটের ভেতরে থাকায় অপারেশন করারও ঝুঁকি ছিল। এরপরও তিন ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর কাঁচিটি বের করতে সক্ষম হই।

রোগীর ভাই কাইয়ুম শেখ যুগান্তরকে বলেন, মনিরাকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। অপারেশন শেষ করে ৩টা ১০ মিনিটের দিকে অবজারভেশন বেডে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা শুনেছি বোন মনিরার পেটের নারীর কিছু অংশ পচে গেছে। আমাদের কাছ থেকে সই নেওয়ার সময় শুনেছি আগামী ৩ মাস পর ফের অপারেশন করা লাগবে। এছাড়া হয়তো আমার বোনের কখনো বাচ্চা হবে না। আর ফের অপারেশন করা লাগলে টাকা-পয়সা কোথায় পাব তা ভেবে পাচ্ছি না।

চিকিৎসকের ভুলের কারণে ক্ষতিপূরণ মামলা করা হবে কিনা? এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, আগে রোগীকে বাঁচানো আমাদের কাছে বড়। আমরা থানায় জিডি করতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে মনিরাকে ভর্তি করে অপারেশন করার জন্য বলেছে। পরে অন্য বিষয় ভাবা হবে।

ডা. রতন কুমার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কাঁচিটি পেটের ভেতর থাকার কারণে তার নাড়ির কিছু অংশ পচন ধরেছে। পচনগুলো কেটে ফেলতে হয়েছে। এমনও হতে পারে তার কৃত্রিম নাড়ি লাগানো লাগতে পারে। মনিরার এখনো জ্ঞান ফেরেনি। তাই জ্ঞান ফেরা ও সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *