করোনার টিকা নিয়ে অর্ধশতাধিক শ্রমিক হাসপাতালে

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক : গাজীপুরের টঙ্গীর বিসিক এলাকায় করোনার টিকা নেওয়ার পর অর্ধশতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে বিসিক এলাকার আরবিএসআর ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ শ্রমিকদের টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

অসুস্থ গার্মেন্টকর্মীরা হলেন— মনি আক্তার (৩০), শান্তা (২০), সাহিদা (২৬), সাইদুল (২৬), শাহিন (২৫), নাসিমা আক্তার (২০), তাসলিমা (২০), শিপ্রা (২১), রোকসানা (২৫), রহিমা (৩০), ময়না আক্তার (২৫), জোসনা বেগম (৩০), নিলি আক্তার (৩০), সীমা (২৬), মালঞ্চ (২২), মুন্নী বেগমসহ (২২) প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক।

কারখানার সুইং সেকশনের মনি আক্তার, নাসিমা আক্তার ও মুন্নী বেগম জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে আরবিএসআর ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় শ্রমিকদের অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। ভ্যাকসিন গ্রহণের পর আমাদের কোনো প্রকার বিশ্রাম না দিয়ে পুনরায় কাজে যোগদানের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।

সেকশন রাত ৮টায় ছুটি হয় আবার কোনো সেকশনে রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ চলে। নির্দেশমতো আমরা কাজ করতে থাকি। পরে একটানা কাজের পর রাতে বেশিরভাগ শ্রমিকের শরীরে প্রচণ্ড জ্বর, ব্যথা, বমি ও কাঁপনি শুরু হয়। কারও কারও মধ্যে আবার প্রচণ্ড অস্থিরতা দেখা দেয়। অনিচ্ছা সত্ত্বেও পর দিন বৃহস্পতিবার সকালে কাজে যোগদান করি।

বেলা সাড়ে ১০টার দিকে কর্মরত শ্রমিকরা একে একে অসুস্থ হয়ে কাঁপতে থাকে এবং কেউ অজ্ঞান হয়ে ফ্লোরে পড়ে যান। এ সময় সহকর্মীরা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ রোগীর সংখ্যা হাসপাতালে বেড়েই চলছিল।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আরবিএসআর ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার ওয়েলফেয়ার অফিসার আমেনা আক্তার বলেন, টিকা গ্রহণের পর শ্রমিকদের প্রায় আধাঘণ্টা বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। এর পরও কেন এমন হলো বলতে পারছি না। আমরা অসুস্থ শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তাদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা চলছে।

এ বিষয়ে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. মাকসুদা আক্তার বলেন, গার্মেন্ট থেকে যেসব রোগী এসেছে, তাদের বেশিরভাগই দুর্বল, শ্বাসকষ্ট ও বুকব্যথা জনিতকারণে আসছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ জ্ঞানও হারিয়েছে। তাদের প্রেশার অত্যন্ত লো ছিল। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে রোগীদের সবাই আপাতত শঙ্কামুক্ত।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *