নড়াইলে যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতন যন্ত্রণায়া ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতল

জাতীয়

নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলে যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে পান্না বেগম (২২) নামে এক গৃহবধু। স্বামীর মধ্য যূগীয় নির্যাতনের শিকার হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।

নির্যাতিতার পরিবার জানায়, নড়াইলের মল্লিকপুর ইউনিয়নের চর-মল্লিকপুর গ্রামের লোকমান শেখ’র ছেলে শেখ নুর আলমের সাথে সাত বছর আগে বিয়ে হয় একই নড়াইলের ইতনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব শেখ’র মেয়ে পান্না বেগমের।

তাদের সংসারে আরমান নামে সাড়ে তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, বিয়ের সময় নগদ টাকা,স্বর্ণাংকার, ফার্নিচার ও সাংসারিক আসবাবপত্রসহ প্রায় দুই লক্ষ টাকার যৌতুক দেয় পান্নার পরিবার। কিন্তু স্বামী নুর-আলম আরো যৌতুকের টাকা দাবী করেন। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই তাদের সংসারে ঝগড়া বিবাদ হতো। এ দিনেও যৌতুকের টাকা নিয়ে স্বামী নূর-আলমের সাথে স্ত্রী পান্নার বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায় স্ত্রী পান্নার লজ্জাস্থানসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বেধড়ক মারপিট করে নূর-আলম। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শুক্রবার বিকালে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

নির্যাতনের শিকার পান্না বেগম বলেন, স্বামী প্রায়ই তাকে যৌতুকের টাকার জন্য মারপিট করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একই বিষয় নিয়ে ঝগড়া লাগলে স্বামী তাকে বেধড়ক মারপিট করে তার সাড়ে তিন বছরের ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় পান্না বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার বিকালে থানায় একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। অভিযোগপত্র পেয়ে রাতে হাসপাতালে যান তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শেখ আজগর আলী। পান্না বেগমের কাছে বিস্তারিত অবহিত হয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে সন্তানকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও পালিয়ে যায় তার স্বামী। পরে পুলিশ সন্তানকে ফিরিয়ে দেন হাসপাতালে চিকিৎসারত মায়ের কাছে।

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান রোগীর চিকিৎসা চলছে। রোগীর শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন থাকলেও আশংকামুক্ত। নড়াইলের লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোকাররম হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়ে রাতে পান্নার শিশু সন্তানকে উদ্ধার করে তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *