তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের গড ফাদার হিসেবে পরিচিত বিতর্কিত সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন তৃনমুল নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পালিয়ে রক্ষা পান বলে নিশ্চিত করেন জেলার নেতারা। শনিবার সকালের দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে সম্মেলন পুর্বক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে। সভায় রাব্বানী মামুন কে দেখে নৌকার নেতাকর্মীরা চরম উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং সভাস্থলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। রাব্বানী মামুন অনুসারীরা পালিয়ে যাওয়ার পর শান্তি পূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, আগামী ১৬ জুন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। এ-উপলক্ষ্যে শনিবার বর্ধিত সভা আহবান করা হয়। সকালের দিকে বিদ্রোহীর গড ফাদার রাব্বানী মামুন সভাস্থলেই ছিলেন। জেলার সভাপতি সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দুদের নিয়ে গোল্লাপাড়া দলীয় কার্যালয় থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সভায় আসেন।
এদিকে এর আগে বিদ্রোহীদের আশ্রয় স্হল তানোর পৌরসভা থেকে গড ফাদার রাব্বানী মামুন ও মেয়র ইমরুলসহ তাদের অনুসারীরা সভায় আসেন। এসময় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা রাব্বানী মামুন কে নানান কথা বলা শুরু করেন এবং নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান কারীদের ঠায় নাইসহ নানান স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এঅবস্হায় তারা পালিয়ে রক্ষা পান। পরে শান্তি পূর্ণ ভাবে সভা শুরু হয়।
জেলা সভাপতি অনিল কুমার সরকার সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারা পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দেন, তাদের আওয়ামী লীগ করার যোগ্যতা নাই। ওরা বিদ্রোহ করবে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যাবে, নৌকার বিরুদ্ধে আপন ভাই কে বিদ্রোহী প্রার্থী করবে, দলীয় কোন সভা করবেনা তাহলে তো তৃনমুলের নেতাকর্মীরা তোপের মুখে ফেলবে।তারা কেমন আওয়ামী লীগ সভা ছেড়ে পালিয়ে যায়। তারা কেমন নেতা, ব্যানারে রাব্বানী সভাপতি ও সঞ্চালনায় মামুন। আর তারাই পালিয়ে যাচ্ছে। আগামী ১৬ জুন সম্মেলন হবে হবেই।
বিতর্কিত বিদ্রোহীদের গড ফাদার সভাপতি রাব্বানী জানান, আমরা খুব আনন্দিত, আমাদের সভায় থাকতে দেওয়া হয়নি। আর রাজনীতি করব না। আপনাদের উপর তৃনমুল ক্ষুব্ধ হয়েছেন জানতে চাইলে তিনি জানান কার ইশারাই কি হচ্ছে সবাই জানে।