স্বদেশ বাণী ডেস্কঃ জাতির স্বপ্নের প্রতিক বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে পদ্মা সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টে টোল দেন তিনি। এরপর সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি সেখানে মোনাজাতেও যোগ দেন।
এরপর বেলা ১২টা ৬ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী গাড়িবহর মাওয়া পয়েন্ট থেকে শরীয়তপুরের জাজিরার দিকে রওনা দেয়। পথিমধ্যে পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে বিমানবাহিনীর মহড়া উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে গাড়িবহর জাজিরা প্রান্তে পৌঁছায়।
এরপর মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত দলের জনসভায় যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এর আগে সুধী সমাবেশে যোগ দিয়ে বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে মাওয়া পয়েন্টে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করেন শেখ হাসিনা।
এর আগে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার। সকাল ১০টার দিকে তিনি সেখানে পৌঁছান।
বিকেল সাড়ে ৫টায় জাজিরা পয়েন্ট থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার এলাকায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার নেতাকর্মীরা শনিবার (২৫ জুন) ভোর থেকে জনসভাস্থলে আসতে শুরু করে।
উল্লেখ্য, শনিবার ভোর থেকে খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী বিভাগের ২১ জেলা থেকে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ, লঞ্চ, ট্রলারসহ বিভিন্ন যানবাহনে মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে আসেন দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। পরে পাঁচ্চর এলাকায় এলে সেখান থেকে যানবাহনগুলো অ্যাপ্রোচ সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এতে পাঁচ্চর থেকে বাংলাবাজার ঘাট পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। অনেকেই এই দীর্ঘপথ হেঁটে জনসভাস্থলে পৌঁছেন। নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল আনন্দ আর উল্লাস। কেউ কেউ বঙ্গবন্ধুর নৌকার আদলে যানবাহন বানিয়ে পুরো জনসভাস্থল ঘুরছে। এ ছাড়া প্রবাস থেকে অনেকেই এ সমাবেশে যোগ দিতে ছুটি নিয়ে দেশে এসেছে।
স্ব.বা/বা