বাঘা প্রতিনিধি : আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত ছিল আঠারো বছর বয়সের নীচের চার জন। বৃহস্পতিবার (১৪-০৭-২০২২) তিন জনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। অষ্টম শ্রেণিতে পড়–য়া স্কুল ছাত্র রাজিব হোসেন (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্র খুন হওয়ার পর তাদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তারা পুলিশকে জানায়, রাজিবের কাছে থাকা ২০ হাজার টাকা আর একটি দামি মোবাইল হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে রাজিবকে মারধরের পর গলায় রশি প্যাচিয়ে হত্যা করে পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়। নগদ টাকা ভাগাভাগি করে নিলেও মোবাইলটি বিক্রি না নারায়নপুর বাজার সংলগ্ন পুকুরে ফেলে দেয় তারা। মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ। আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত ছিল চারজন। আইনগত বিধি নিষেধে তাদের নাম প্রকাশ করা গেলনা। তিনজনের মধ্যে একজন একই উপজেলার চকছাতারি গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে অপর দুই জনের একজনকলিগ্রাম এলাকার মাহবুব আলীর ছেলে ও আরেকজন জালাল আলীর ছেলে । তাদের সকলের বয়স ১৮ বছরের নীচে।
শুক্রবার (৮ জুলাই) সকালে উপজেলার কলিগ্রাম এলাকার পদ্মানদী থেকে রাজিবের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজের দুই দিন পর রাজিবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল রাজিব হোসেন। সে বাঘা উপজেলার চকছাতারী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। উপজেলা সদরে ইসলামী একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়,কারিগরি ও কৃষি কলেজে অষ্টম শ্রেণীতে লেখাপড়া করতো রাজিব হোসেন। কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকেন মা- আফরোজা বেগম ও বাবা আব্দুর রাজ্জাক । রাজিব নিজের বাড়িতে নানির সাথে থাকতো।
পুলিশ জানায়, মরদেহ উদ্ধারের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
চায়না খাতুন বলেন, রাজিবের পিড়াপিড়িতে নিখোঁজের কয়েকদিন আগে রেডমি ১০ মোবাইল ফোন কিনে দেওয়া হয়েছিল। ফোন কিনে দেওয়ার পর থেকে বিকেলে বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়াতো রাজিব।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর গলায় রশি বাঁধা ও মুখের মধ্যে রশি ঢোকানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। পরে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মৃত্যুর রহস্য উদঘটনে তৎপর ছিল পুলিশ। আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত ৩জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
স্ব.বা/বা