গরমে অতিষ্ট হিলির জনজীবন

জাতীয়

স্বদেশ বাণী ডেস্ক:দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলা হাকিমপুর গত কয়েক দিন থেকে প্রচন্ড দাবদাহে পুড়ছে। দাবদাহের কারণে নাভিশ্বাস উঠেছে খেটেখাওয়া মানুষের জীবন। সেই সঙ্গে বাতাসের আদ্রতা ছিল ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত, যা বাড়াচ্ছে দুর্ভোগ। শুক্রবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সঠিক সময়ে চাষাবাদ করতে পারছেন না কৃষকরা। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বিদ্যমান তাপদাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে।

হাকিমপুর (হিলি) উপজেলার বিশাপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিদিন রোদের কারণে জমিতে পানি নেই; যার কারণে সঠিক সময়ে চাষাবাদ করতে পারছি না। অতিরিক্ত গরমের কারণে ধানের বীজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ডিজেলচালিত ইঞ্জিন দিয়ে পানি দিয়ে কোনো রকমে ধানের বীজ সংরক্ষণ করছি। যদি বিদ্যমান তাপদাহ অব্যাহত থাকে তবে কৃষকের অনেক ক্ষতি হবে। আল্লাহতায়ালা কবে যে বৃষ্টি দিবেন সেই আশায় রয়েছি।

হিলি বাজারে কথা হয় মাহফুজুল ইসলাম নামে একজন যুবকের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করি। যার জন্য সকাল থেকেই মাঠে বের হতে হয়। সকালে ছাতা নিয়ে বের হয়েছি, এরকম তাপমাত্রা আর দেখিনি। ছাতা নেওয়ার পরও মনে হচ্ছে সূর্য মাথার উপরে। খুব ক্লান্ত লাগছে।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, দিনাজপুরসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। শুক্রবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দাবদাহ আরও দুই-তিন দিন চলমান থাকতে পারে। ১৭ জুলাইয়ের পর থেকে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমতে পারে। ২০ থেকে ২২ জুলাইয়ের পর থেকে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে; যা অব্যাহতভাবে কয়েক দিন চলবে। বৃষ্টিপাত হলে দাবদাহ কিছুটা কমবে।

স্ব.বা/ রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *