তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে বিস্কুট ফেক্টরীর আড়ালে চোলাই মদের রমরমা ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তানোর টু চৌবাড়িয়া রাস্তার চৌবাড়িয়া বাজারে প্রবেশের মুখেই অনুমোদন হীন রত্না বিস্কুট ফেক্টরীতে ঘটে রয়েছে এমন ঘটনা। শুধু তাই না মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রান পাপ জুস সুস্বাদুর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বিস্কুট ও বিভিন্ন পণ্যে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এঘটনা ছড়িয়ে পড়লে ফেক্টরী বন্ধের জোরালো দাবি তুলেছেন স্হানীয়রা।
শনিবার দুপুরের দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর টু চৌবাড়িয়া রাস্তার পুর্ব দিকে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে রত্না বিস্কুট ফেক্টরী। সামনের গেটে তালা মারা। পিছনে বেশকিছু শ্রমিক কাজ করছেন। আর ওই জায়গার মালিক বিএনপি নেতা সুলতানসহ বেশ কয়েকজন চোলাই মদ সেবন করছিল। যেখানে বিস্কুট সহ যাবতীয় পণ্য তৈরি করা হচ্ছে সেখানে মাছি আবর্জনাসহ প্রচুর নোংরা পরিবেশ। তার পাশে ছোট টিনের ঘর সেখানে টাইগার ও স্পিডের অনেক বোতল। সেই সাথে কয়েক কার্টুন মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রান পাপ ও জুস রাখা হয়েছে। টাইগারের বোতল গুলোতে শুধু চোলাই মদের গন্ধ।
শ্রমিক দের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান জায়গাটি সুলতানের তিনি প্রতিদিন এখানে বিভিন্ন এলাকার লোকজন এনে মদ জুয়া খেলেন। আমরা নিষেধ করলে মারতে আসে। এভয়ে কিছুই বলতে পারিনা। এত নোংরা পরিবেশে এসব পণ্য কিভাবে তৈরি করছেন জানতে চাইলে তারা জানান মালিক রশিদ ও আনোয়ার যে ভাবে বলেন আমরা সেভাবে কাজ করি। সেখান থেকেই আনোয়ারের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমাদের সব অনুমতি নেওয়া আছে।তাছাড়া প্রকাশ্যে কিভাবে ব্যবসা করব বলে দম্ভোক্তি প্রকাশ করেন।
সেখান থেকেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি বাহিরে রোববারে অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হবে বলেও জানান তিনি।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান রোববার অফিসে গিয়ে ছাড়পত্র না থাকলে কঠোর ব্যবস্হা নেওয়া হবে ফেক্টরীর বিরুদ্ধে।
এর কিছুক্ষণ পরে আসেন থানার এসআই নজরুল। তিনি বোতল দেখে মালিক রশিদ কে সতর্ক করে দেন এবং এর পারে এমন ঘটনা ঘটলে কঠোর ব্যবস্হা।
মালিক রশিদ জানান, এখানে চোলাই মদ সেবন হলে ব্যবসা করব না এবং যে সব মেয়াদ উত্তীর্ণ মালামাল আছে তা নষ্ট করে দেওয়া হবে। কোম্পানির মাল নেওয়ার কথা, কিন্তু এসব মালামাল রাখার দায়ে একবার জরিমানা দিয়েছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু রত্না না পুরো উপজেলায় ব্যঙ্গের ছাতার মত আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে অবৈধ বিস্কুট ফেক্টরী। তারা বিএসটিএর লেবেল লাগিয়ে কর্তাবাবুদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দেদারসে বাজারজাত করে আসছেন।
স্হানীয়রা জানান, অবৈধ বিস্কুট ফেক্টরীর পণ্য গুলো একেবারেই নিম্মমানের। কোন ধরনের পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই বাজার জাত করছেন।
এদিকে সেনেটারি ইনস্পেকটর মোটা অংকের টাকা নিয়ে এসব ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছেন বলেও অহরহ অভিযোগ রয়েছে।
তিনি জানান আমরা ব্যবস্হা নিচ্ছি, কিভাবে ব্যবস্হা নিচ্ছেন তারা বছরের পর বছর ব্যবসা করে যাচ্ছেন এবং অবৈধ ভাবে দই ছানাও তৈরি হচ্ছে অবহিত করা হলে তিনি জানান আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।
স্ব.বা/বা