তানোরে শ্রেষ্ঠ শ্রেনী শিক্ষক বন্দিতা রানীকে সহপাঠীদের সংবর্ধনা 

রাজশাহী শিক্ষা
তানোর প্রতিনিধি : জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে রাজশাহীর তানোরে কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেনী  শিক্ষক হয়েছেন মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বন্দিতা রানী।
গত সোমবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর থেকে তাকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করেন  বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান।
তিনি জানান, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা ভাবে জরিপ করা হয়। পাঠদান শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাপারে আগ্রহ তৈরি, নিয়োমিত উপস্থিতি সহ নানা ভাবে বিশ্লেষণ করা হয়। বেশকিছু শিক্ষকদের নির্বাচিত করে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এদের মধ্যে যে শিক্ষক প্রথম স্হান অধিকার করেন তাকে শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এবারে তানোর ( চাপড়) মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বন্দিতা রানী কে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের  শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের এওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। এ-উপলক্ষ্যে  মঙ্গলবার তানোর ( চাপড়) মহিলা কলেজ চত্বরে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয় ।
এতে  বক্তব্য রাখেন কলেজ অধ্যক্ষ অনুকূল কুমার ঘোষ তিনি  বলেন উপজেলার মধ্যে অত্র কলেজের সহকারী অধ্যাপক বন্দিতা রানী শ্রেষ্ঠ শ্রেনী শিক্ষক এওয়ার্ড পাওয়ায় আমরা গর্বিত। শুধু শ্রেষ্ঠ শিক্ষক না আমাদের কলেজ থেকে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাপশি রাবিয়া শ্রেষ্ঠ শ্রেনী শিক্ষার্থীর এওয়ার্ড পেয়েছেন এবং  ক্যারাত ও কবিতা আবৃতিতেও প্রথম স্হান অধিকার করে   পুরস্কৃত হয়েছেন। এটা সম্ভব হয়েছে সকল শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম নিয়োমিত পাঠদান, কোভিড-১৯ এর সময় অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার জন্যই কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা প্রথম স্হান অধিকার করে কলেজকে সম্মানিত করেছেন। আগামীতে আশা করছি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে  আমাদের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা একদিন না একদিন পুরস্কৃত হবেন বলে আমার দৃঢ বিশ্বাস।  তিনি দাবি করেন এই  কলেজ বরেন্দ্র অঞ্চল ও তানোর সহ আশপাশের উপজেলায় মহিলা শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রচুর অবদান রেখেছে এবং রাখবে। যেহেতু উপজেলার প্রথম মহিলা কলেজ এটি, আমাদের সংসদেকে অনুরোধ করে বলব তার মাধ্যমেই যেন  মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টির মাধ্যমে কলেজ টিকে সরকারি করন করার জন্য আকুল আবেদন করছি।
শ্রেষ্ঠ শ্রেনী শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক বন্দিতা রানী জানান, আমার প্রায় ২৫ বছরের শিক্ষকতায় এটিই প্রথম এওয়ার্ড। আমি অত্যান্ত আনন্দিত ও গর্বিত। সবাই নিজের কাজের জন্য স্বীকৃতি আশা করেন। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যতদিন বেচে থাকব ততদিন যেন সঠিক ভাবে পাঠদান করাতে পারি এবং মাননীয় সংসদের মাধ্যমে দেশরত্ন এই কলেজটিকে যেন সরকারি করন করে দেন। আমি জানিনা বেঁচে থাকা অবস্থায় সরকারি হবে কিনা, আমি প্রার্থনা করি  মহান ঈশ্বর কলেজ টিকে সংসদ ও দেশরত্নের মাধ্যমে  সরকারি হয়েছে সেটি   যেন দেখে যেতে পারি এটার আমার শিক্ষকতার জীবনের স্বপ্ন । এসময় আরো বক্তব্য রাখেন কলেজের উপাধ্যক্ষ মোরশেদ আলী মৃধা, প্রভাষক মুনসেফ আলীসহ শিক্ষক কর্মচারী সুধীজন ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্ব.বা/ম
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *