‘মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব থামানো সম্ভব: ডব্লিউএইচও’

আন্তর্জাতিক লীড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বন্ধ করা যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক এই সংস্থা বলেছে, সঠিক কৌশলের মাধ্যমে এই ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

মঙ্গলবার ডব্লিউএইচওর মাঙ্কিপক্স ভাইরাসবিষয়ক টেকিনিক্যাল লিড রোসামুন্ড লুইস বলেন, আমরা এখনও বিশ্বাস করি, যথাযথ কৌশলের মাধ্যমে মাঙ্কিপক্সের এই প্রাদুর্ভাব থামানো যেতে পারে। কিন্তু সময় চলে যাচ্ছে এবং এটিকে থামানোর জন্য আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।

ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের কারণে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস নিয়ে গত শনিবার বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করে ডব্লিউএইচও। ডব্লিউএইচওর জরুরি কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস নিয়ে বৈশ্বিক সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সতর্কতা জারির সিদ্ধান্ত হয়।

গত ২২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭৫টি দেশে ১৬ হাজার ৮০০ জনের বেশি মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

রোসামুন্ড লুইস বলেছেন, ‘এই ভাইরাস মোকাবিলায় ডব্লিউএইচও এখনও বৈশ্বিক সমন্বিত প্রক্রিয়া নির্ধারণে কাজ করছে। সমন্বিত এই প্রক্রিয়ার বিষয়টি বর্তমানে আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।’

ভাইরাল সংক্রমণজনিত এই রোগটি পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকায় সাধারণত সবচেয়ে বেশি দেখা গেলেও চলতি বছর সেই গণ্ডি পেরিয়েছে। গত ৭ মে প্রথম একজন ইউরোপীয় নাগরিকের দেহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। নাইজেরিয়া থেকে ওই ব্যক্তি ইংল্যান্ডে ফিরে এসেছিলেন। বিশ্বে মাঙ্কিপক্সের চলমান প্রাদুর্ভাবে অন্তত পাঁচজন মারা গেছেন।

নিউ ইংল্যান্ড জার্নালে প্রকাশিত বিশ্বের ১৬টি দেশের ৫২৮ জন মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৯৫ শতাংশ রোগীর শরীরে যৌন কার্যকলাপের মাধ্যমে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ ঘটেছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বৃহৎ পরিসরের গবেষণা।

স্ব.বা/ রু.

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *