স্বদেশ বাণী ডেস্ক : বৃহস্পতিবার বাজারে এসেছে নতুন দামের সয়াবিন তেল। এক্ষেত্রে লিটারে ১৩ থেকে ১৪ টাকা ক্রেতাদের সাশ্রয় হচ্ছে । দাম কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সকল শ্রেণির ভোক্তা।এছাড়াও তেলসহ অন্যান্য ভোগ্য পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাজার ও মুদি দোকান ঘুরে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজারে নতুন আসা এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৮৫ টাকা। যা আগে ছিল ১৯৮ টাকা। আর দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন মূল্য ৩৭০ টাকা। যা আগে ছিল ৩৯৮ টাকা। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন ৯৩০ টাকা। যা আগে ছিল ৯৯৭ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন দামের পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের চাইতে এক ও দুই লিটারের তেলের চাহিদা বেশি। আবার পাড়া-মহল্লার অনেক দোকানেই এক দিনের ব্যবধানে শেষ হয়েছে এক লিটারের তেল।
দোকানিদের ভাষ্য- নতুন দামে তেল আসার পর চাহিদা বেড়ে গেছে। নগরির আগারগাঁও এলাকার মুদি ব্যবসায়ী রাজু আলী বলেন, ‘লিটারে ১৩ টাকা কম। তাই যার আপাতত দরকার নেই, সেও এক লিটার নিছে। তেলের দাম তো খালি ওঠানামা করে, তাই কাস্টমার কিনে রাখে।’
পান্থপথ এলাকার ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কোম্পানির থেকে আমরা যে দামে পাই, সেই দামেই বিক্রি করি। গতকাল নতুন তেল আসছে। তেল আছে। সংকট নাই।’
এ দিকে দাম কিছুটা কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। কাঠালবাগান এলাকার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘তেলের দাম নিয়ে সব সময়ই দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। ১৩ টাকা কমছে এটা ভালো খবর। আবার যেন না বেড়ে যায়।’
তেলসহ সকল ভোগ্য পণ্যের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হৃদয় আহমেদ বলেন, ‘আমাদের হিসেব করা বেতন। এরমধ্যেই চলতে হয়। হুটহাট কিছুর দাম বাড়লে আমরা বিপদে পড়ি। আমাদের আয় বাড়ে না, ব্যয় বাড়ে। এদিকে সরকারের নজর দেওয়া দরকার।’
স্ব.বা/ম