বাঘায় যুবকের যৌন লালসার শিকার গৃহপালিত পশু! ছাগলকে ধর্ষণের অভিযোগ

বিশেষ সংবাদ রাজশাহী লীড

“যুবকের যৌন লালসার শিকার গৃহপালিত পশু! গরুকে ধর্ষণের অভিযোগ, পলাতক অভিযুক্ত” যুবকের যৌন লালসার শিকার গৃহপালিত পশু! গরুকে ধর্ষণের অভিযোগ, পলাতক অভিযুক্ত”>বাঘা প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চরাঞ্চলের চকরাজাপুর ইউনিয়নের পলাশিফতেপুর গ্রামে ছাগলকে ধর্ষণের অভিযোগ ‍উঠেছে। বাড়ির পাশে ঝঞ্জার ক্ষেতে ছাগল দেয়া ছিল। ভ্যাবানো শুনে মেয়ে সাবিনা গিয়ে দেখে, পাশের বাড়ির বিপ্লব হোসেন (২৫) ক্ষেত থেকে বেরিয়ে যায়। ছাগলটি মাজা কুঁচকায়ে কুঁচকায়ে ভ্যাবাচ্ছিল আর যৌননালি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল।

এই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই ঐ যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাগলের মালিক আবু সালাম। ঘটনার কথা অস্বীকার করে ওই যুবক।

>স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে জনপ্রতিনিধি,গ্রাম্য মাতব্বরদের কাছে দেন দরবারের পর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

মালিক আবু সালাম জানান, গত মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) তার একটি পাটি ছাগল বাড়ির পাশের ঝঞ্জার ক্ষেতে ছিল। দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ছাগলের ভ্যাবানো ডাক শুনে,তার মেয়ে সাবিনা খাতুন শিয়ালে কামড় দেওয়ার ধারনায় বাড়ি থেকে ঝঞ্জার ক্ষেতে ছুটে যায়। সেখানে তার যাওয়া দেখে পাশের বাড়ির বিপ্লব হোসেন (২৫) ঝঞ্জার ক্ষেত থেকে বেরিয়ে যায়। পরে দেখে ছাগলটি মাজা কুঁচকায়ে কুঁচকায়ে ভ্যাবাচ্ছিল আর যৌননালি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। ছাগলের অবস্থা আর ঝঞ্জার ক্ষেতের মধ্যে থেকে বিপ্লব হোসেনকে বের হয়ে যাওয়া দেখে। ধারনা করেন, বিপ্লব হোসেন ছাগলের সাথে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছিল।

পরে বিষয়টি স্থানীয় মেম্বর ও ইউপি চেয়ারম্যানকে জানান আবু সালাম। তিনি বলেন,স্থানীয়ভাবে কোন সুরাহা না হওয়ায় থানায় অভিযোগ করেছেন।

বিপ্লব হোসেনের দাবি, ইউপি নির্বাচনে আবু সালামের কথা মতো ভোট না দেওয়ায় মতবিরোধ হয়। এখন মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তিনি আবু সালামকে মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করলেও আবু সালাম সেটি অস্বীকার করে বলেন,নিজের অপরাধ ঢাকার জন্য সে এখন অনেক কিছুই বলতে পারে। তবে আমি মিথ্যা কোন অভিযোগ করিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান শিশির জানান,বিষয়টি জানার পর স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করে পারিনি। একই কথা বলেছেন ইউপি চেয়ারম্যান ডিএম মনোয়ার হোসেন বাবুল দেওয়ান

উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ রোকনুজ্জামান বলেন,পরীক্ষার জন্য পুলিশ সহযোগিতা চাইলে আমি সেটি করবো।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল করিম বলেন,অভিযোগ তদন্তের জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রমানিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিষয়টি সিনসেটিভ। অভিযোগ তদন্তকারি অফিসার এসআই সাবদুল ইসলাম বলেন,ঘটনাস্থল এলকায় যাওয়ার পর,বিপ্লবকে পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত চলছে।

স্ব.বা/ম

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *