স্বদেশবাণী ডেস্ক : নিম্ন আয়ের মানুষের বেশি ব্যবহৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে আলাদা হিসাব করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বুধবার ( ৩ আগস্ট) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া জুলাই মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা জানান।
এম এ মান্নান বলেন, রোপা-আমন হচ্ছে। আরও একটা ভয়ংকর বন্যা যদি না আসে তবে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। চাল আমদানির দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। ৪২২টি আইটেমের ওপর ভর করে বিবিএস মূল্যস্ফীতির তথ্য দেয়। সার্বিক মূল্যসূচক দশমিক ৮ কমেছে, এটা কিন্তু বিরাট খবর। খাদ্যের মূল্যসূচকও কমেছে। খাদ্যেও কমেছে, সার্বিকও কমেছে। আমি কনফিডেন্ট, এই ট্রেন্ড বজায় থাকবে।
বিবিএস জানায়, জুলাই মাসে গ্রামে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৮ দশমিক ০২ শতাংশ, অথচ শহরে ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। অর্থাৎ শহরের থেকে মূল্যস্ফীতির আগুণে বেশি পুড়ছে গ্রামের মানুষ।
এ সময় মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ৪২২টি পণ্য নিয়ে কাজ করি। এখানে সমস্যা দেখা দেয়, কিছু পণ্যের দাম ওঠা-নামা করে। অনলি ফর লো ইনকাম মানুষের জন্য সিস্টেমটা কিছুটা বদল করবো। তবে আবহমান কাল থেকে এটা চালু আছে।
ধনী শ্রেণির মানুষ ৮০ থেকে ৯০টি আইটেম (নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য) ব্যবহার করে, কিন্তু নিম্ন আয়ের মানুষ ২০ থেকে ২২টি আইটেম ব্যবহার করে। নিম্ন আয়ের মানুষদের ব্যবহার করা পণ্য নিয়ে কিছু করা কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, গ্রামের মানুষ কিছুটা দার্শনিক। তারা ব্যথাটা ফিল করেন না। গ্রামের মানুষ ঘরের খাবার খান। তারা মূল্যস্ফীতির খবর নেন না। সব থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ সহনশীল। তবে এটা আমরা আলাদা করবো।
তিনি বলেন, ২০ থেকে ২২টি আইটেম নিয়ে কয়েক মাসের মধ্যে কিছু কাজ করবো। এখন গড় হিসাব করা হয়, ধনী ও গরিব সবার পণ্য একইভাবে হিসাব করা হয়। কয়েক মাসের মধ্যে এটা আলাদা করবো।
স্ব.ব/রু