স্টাফ রিপোর্টার : জলবায়ু পরিবর্তনে বরেন্দ্র অঞ্চলে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এতে অনাবৃষ্টি ও মরুময়তা দেখা দিয়েছে। এজন্য বাস্তব জীবনমুখী প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। সঠিক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে জলবায়ুর পবির্তন নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজশাহীতে জলবায়ু সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্য দায়ী ধনী দেশগুলোর কাছ থেকে জলবায়ুর ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। তাদের বিলাসী জীবনযাপন পরিত্যাগ করে কম কার্বননির্ভর জীবনযাপনে বাধ্য করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) বরেন্দ্র অঞ্চল সমন্বয়কারী ও গবেষক শহিদুল ইসলাম, আদিবাসী সংগঠক সুভাষ হেম্রম, যুব সংগঠকের আহ্বায়ক রুবেল হোসেন, বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজশাহীর সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর আলম, তরুণ সংগঠক শামিউল আলীম শাওন ও তহুরা খাতুন লিলি প্রমুখ।
লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহ, খরা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বরেন্দ্র অঞ্চলে নতুন নতুন সংকট বাড়ছে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন খরার কারণে পানি সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। পানিকে কেন্দ্র করে বরেন্দ্র অঞ্চলের সমাজব্যবস্থায় সহিংসতা আগের তুলনায় বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী রেশম শিল্পের ওপরও প্রভাব ফেলেছে।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং অস্বাভাবিক তাপমাত্রা ওঠানামার কারণে রেশম পলু পোকা পালনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন চাষিরা। তাদের উৎপাদন খরচও বেড়েছে। বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্যতম লাক্ষা চাষেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
স্ব.বা/ম